শিরোনাম: |
মরহুম ওমর আহমেদ মজুমদার এমপির ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
|
কুমিল্লা প্রতিনিধি ॥
আজ নাংগলকোট থানার প্রতিষ্টাতা তিন তিনবার নিবাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব ওমর আহাম্মদ মজুমদার এর ২৪ মৃত্যুবার্ষিকী আজকের দিনে আমরা সকলে উনার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি আল্লাহ তুমি তোমার এ বান্দাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান কর আমিন। দঃক্ষিন কুমিল্লার সম্ভ্রান্ত মুসলিম বনেদী পরিবারে ০৮ মার্চ ১৯৩০ সালে বাবা বাদশা মিয়া মজুমদারের ঔরসে মা সাহারা বানু মজুমদারের কোলজুড়ে অনন্য রাজনীতিক,জনহিতৈষী,গণবান্ধব ও সাধারন মানুষের দুঃখ-কষ্টে আজীবন তড়িতাহত জনাব ওমর আহমেদ মজুমদারের বসুন্ধরায় আগমন! অল্প বয়সে পিতৃহারা ওমর আহমেদ মজুমদার ঐতির্য্যবাহী পরিবারের সদস্য হিসাবে ধমণীতে ধাবমান সমাজ সেবার ব্রতে উদ্দীপ্ত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার পদে নির্বাচিত হওয়ার মধ্যদিয়ে স্হানীয় রাজনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পদার্পণ করেন। উল্লেখ্য পাকিস্তান আমলে মেম্বারদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হতো। তাই চেয়ারম্যান হওয়ার মত উপযুক্ত লোকরাই মেম্বার হয়ে আসতে হতো। পরবর্তীতে তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে দীর্ঘ ২৫ বৎসর সুনামের সহিত নাঙ্গলকোট (সাবেক লাকসামসহ) উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সমাজসেবায় অনন্য অবধানে ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের (সিলেট বিভাগসহ) শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের সম্মাননা ও স্বর্ণপদক লাভ করেন! তিনি গ্রামীণ সমাজ এবং পল্লী উন্নয়নে ইউনিয়ন পরিষদের "ক্ষমতায়ন ও ভূমিকা" শীর্ষক বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে। তাঁর ঐ জ্ঞানগর্ভ ও প্রাজ্ঞল বেতার ভাষন সর্ব পাকিস্তানব্যাপী সমাদৃত হয়েছিল! ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর লাকসাম আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন এই প্রতিষজশা রাজনীতিক নিভৃত গাঁ- গেরামের মানুষের হৃদস্পন্দন মরহুম ওমর আহমেদ মজুমদার। তিনি ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত লাকসাম (উঃ) আসনের সাংসদ নবাব পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার হাবিবুল হকের মৃত্যু পর ঐ আসন হতে উপনির্বাচনে রাষ্টপতি জিয়ার স্নেহাশীর্বাদ মনোনয়নে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি দলীয় সাংসদ নির্বাচিত হন। এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালসহ তিন তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অনন্য নজির স্হাপন করেন। আমার জানামতে গুরুতর প্রশ্নহীন নির্বাচনে ওমর আহমেদ মজুমদারই কুমিল্লা জেলায় একমাত্র সাংসদ,যিনি পরপর তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার অনুপম আকাংখায় বুঁদ হয়ে ১৯৬৫ সালে দুই একর পারিবারিক সম্পত্তির উপর বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেন বাদশা মিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ "যা' ১৯৯৫ সালে তাঁহার জীবদ্দশায় কলেজে উর্ত্তিন্ন হয়। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট সরকারী পদস্থ কর্মকর্তা এমনকি পাকিস্তান আমলে শিক্ষামন্ত্রীকেও সফর ও পরিদর্শনে এনেছিলেন! যা' ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে দুরূহ এবং অনন্য দৃষ্টান্ত!! মরহুম সাংসদ কলেজের মাটি ভরাট,ভবন নির্মাণসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের ভিত রচনার পাশাপাশি সরকারী এমপিও ভুক্তিকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন ও অবদান রাখেন। এছাড়া ওমর আহমেদ সাহেবের দায়িত্বাধীন সময়ে নাঙ্গলকোট কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি স্কুল,মাদ্রাসা,মসজিদ-মন্দিরের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। জিয়াউর রহমানের আস্হাভাজন ওমর আহমেদ মজুমদার তাঁহার প্রাজ্ঞয়োচিত রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় নবগঠিত নাঙ্গলকোট থানাকে লাকসাম- চৌদ্দগ্রামে টানা-টানি না-করে একক সত্তায় নাঙ্গলকোটকে সংসদীয় আসনে পরিনত করতে সক্ষম হন! পরবর্তীতে এমপি ওমর আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৯৮৪ সালে নবজাতক নাঙ্গলকোট থানাকে উপজেলায় উন্নীত করে উন্নয়নের মহাসড়কে সংযুক্ত করেন। |