শিরোনাম: |
ইরফান ও তার ২ সহযোগী ডিবি হেফাজতে
|
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের মেজো ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দুই সহযোগীকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরের পর তাদের মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতে মামলার তদন্তভার ডিবির কাছে ন্যস্ত করা হয়। এ কারণে আসামিদের তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় একটি মাইক্রোবাসে করে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম ও সিদ্দিককে নিয়ে মিন্টু রোডের উদ্দেশে রওনা হয়। রিমান্ডের প্রথম দিন বুধবার রাতে এ তিনজনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। এর আগে ধানমন্ডিতে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মোটরসাইকেলের ঘষা লাগায় তাকে বেধড়ক মারধর করেছেন গাড়িতে থাকা কয়েকজন। মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম আহত হন। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর ভোরে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন- সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম (৩৭), তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মালিকানাধীন মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমান (৩০) ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের অবস্থান শনাক্ত করে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। পরে র্যাব ইরফান ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। |