শিরোনাম: |
হাজারীর আত্মজীবনী (পর্ব-১১৮)
|
ছোট রাসেল ও প্রিন্সিপালের মেয়ে
ছাগলনাইয়ার এক ব্যাংকারের ছেলে ছোট রাসেল। পরিবারের সাথে থাকত পূর্ব হাজারী বাড়ির একটি ভাড়া বাড়িতে, তার পাশেই ছিল প্রিন্সিপাল ইলিয়াস সাহেবের পরিবার। স্কুল জীবনে রাসেলের সাথে সম্পর্ক হয় ইলিয়াস সাহেবের মেয়ের। একপর্যায়ে রাসেলরা বাড়ি পরিবর্তন করে চলে আসে আমার বাড়ির পাশে ডাক্তার বশিরের বাড়িতে। ২০০০ সালে এক মাস লন্ডন ছিলাম, এই সময় অনেকগুলো প্রেম কাহিনী জন্মলাভ করে। যেমন চাচাতো ভাই ইদু মিয়ার ছেলে তসলিমের সঙ্গে নাজির রোডের রাজার বোনের তেমনি যে মানিক আমার বাড়িতে থাকত তার সঙ্গে একটি মেয়ের। আমি ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশা খারাপ চোখে দেখতাম না, এটা সবাই জানত। কিন্তু লন্ডন থেকে এসে একটি নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করতে বাধ্য হই। ২০০০ সালে রাসেল প্রিন্সিপাল সাহেবের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সকলের ধারণা, আমি ইচ্ছা করলে মেয়েটাকে উদ্ধার করতে পারি। একদিন কাস্টমস সুপার আমাকে টেলিফোনে ব্যাপারটি সুরাহা করার অনুরোধ করে। হাফেজ মেয়েটির মামা। তাকে কথা দিলাম সমস্যা হবে না। শর্ত দিলাম মেয়ে আমি উদ্ধার করব তবে মেয়ের ইচ্ছার প্রাধান্য দিতে হবে। তারা রাজি হলো। একদিন আমি আমার বাড়ির দোতলায় মেয়ের মা আর কিছু নিকট আত্মীয় এবং রাসেল ও মেয়েকে মুখোমুখি করি। মেয়েকে দেখেই তার মা কান্নাকাটি শুরু করল। কিন্তু তাতে মেয়ের কোনো প্রতিক্রিয়া বোঝা গেল না। আসল প্রশ্নের উত্তরে মেয়ে বলে যে, সে মায়ের সঙ্গে যাবে না, রাসেলের সাথেই যাবে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের মা বেহুঁশ হয়ে পড়ে। সবাই কান্নাকাটি করতে থাকে। একজন এসে মেয়েটিকে মায়ের কাছে যেতে বলে, মেয়েটি তাকে ঝাটকা মেরে ফেলে দেয় বলে আমি কি করব! আমি ডাক্তার নাকি? মেয়েটির এই নিষ্ঠুর আচরণ আমাকে বিস্মিত করে মেয়েদের ব্যাপারে আবারও আমার নেগেটিভ ধারণার জন্ম হয়। যে সমস্ত কবি সাহিত্যিক মেয়েদের হৃদয় কোমল বলে উল্লেখ করেছে তাদের সাথে আমি একমত নই। আমি যাযাবরের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। |