শিরোনাম: |
ফেনীতে প্রতারণার মামলায় গুণবতীর হুমায়ূন কবির গ্রেফতার
|
![]() নানন অপকর্ম আর প্রতারণা মামলায় গুণবতীর হুমায়ূন কবিরকে ফেনী থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাকে ফেনী শহরের শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কের শহীদ ম্যানশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী এলাকার খাটরা গ্রামের আবদুল কাদের মাস্টারের ছেলে। ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলাশার গ্রামের ডা. লকিয়ত উল্যাহ সরিষাদি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল কাদের মাস্টারের ছেলে হুমায়ূন কবীরের সাথে পূর্ব থেকে পরিচয়ের সুবাদে হুমায়ূন কবীর কে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ডা. লকিয়ত উল্যাহ সরল বিশ্বাসে ২০১৯ সালে ১৪ লাখ টাকা হাওলাত দেন। টাকা লেনদেনের কারণে দুটি পরিবারের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ডা. লকিয়ত উল্যাহর স্ত্রী কান্সারে আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হয়। সেখানে হুমায়ূন কবিরের ছোট ভাই জাহান কবির শিপনও বসবাস করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত ডা. মাশফিকা আশরাফের চিকিৎসা দেখাশোনার দায়ীত্বও নেন জাহান কবির শিপন। চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচ বাবদ ডা.লকিয়ত উল্যাহ জাহান কবিরকে ৪কোটি টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে হুমায়ূন কবির ডা.লকিয়ত উল্যাহর কাছে আরো দুই লাখ টাকা হাওলাত চাইলে তার গুণবতীর ওয়ান স্টার কমপ্লেক্সের একাউন্টের মাধ্যমে আরও দুই লাখ টাকা হাওলাত দেন। মোট ১৬ লাখ টাকা হুমায়ূন কবিরের নিকট ডা. লকিয়ত উল্যাহ পাওনা হন। ২০২২ সালে পাওনা ১৬ লাখ টাকা চাওয়ায় হুমায়ূন কবির নানা অজুহাতে সময় ক্ষ্যাপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার ছোটভাইকে দিয়ে লন্ডনে ডা. লকিয়ত উল্যাহ, তার ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী ও সন্তানকে বাসা থেকে বের করে দেন। সেখানে নানাভাবে তাদেরকে হয়রানি করতে থাকে। বিষয়টি ডা. লকিয়ত উল্যাহর মালিকীয় বায়ো ফার্মায় কর্মরত তার ভাই আবদুল্লাহ আল মাসউদকে জানালে সে হুমায়ূন কবিরের নিকট টাকা চাইলে তাকেও নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। তার হুমকিতে নিরুপায় হয় আবদুল্লাহ আল মাসউদ গত ৬ জুন ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ডিবি পুলিশের এসআই কুতুব উদ্দিন তাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। |