শিরোনাম: |
লোডশেডিং নিয়ে যা জানালো বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() সোমবার ভোলায় সদ্যপ্রাপ্ত ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী দেশের ২৯তম এ গ্যাসক্ষেত্রের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নেয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম খননের কাজ করে। গত ১৪ এপ্রিল কূপের ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় খনন কাজ শেষে পৃথক নতুন একটি গ্যাসের স্তর আবিষ্কার হয়। পরে সার্বিক ভূতাত্ত্বিক ও ভূপদার্থিক কারিগরি বিশ্লেষণ ও ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) সম্পন্ন করে ইলিশা কূপকে গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা প্রদানের বিষয়ে বাপেক্স মতামত দেয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আনন্দের সংবাদ এবং সৌভাগ্যের। ইলিশা কূপ থেকে ২৬-৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। এই কূপসহ ভোলাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ টিসিএফ গ্যাস মজুদের আশা করা হচ্ছে।’ ভোলার অন্য দুটি গ্যাসক্ষেত্র হলো বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র, ৬ কূপ ও সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থ, ২ কূপ। সর্বশেষ ইলিশা-১ কূপ। নসরুল হামিদ বলেন, দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে একটি পাইপলাইন খুলনা যাবে। এই লাইনের প্রি-ফিজিবিলিটি শেষ হয়েছে। এখন ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৩-৯৪ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ২০১৮ সালে আবিষ্কৃত হয় ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র। এই দুই গ্যাসক্ষেত্রে আটটি কূপ খনন করা হয়। প্রস্তাবিত নতুন ক্ষেত্রটিসহ ভোলায় গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। |