শিরোনাম: |
চেক জালিয়াতির অভিযোগে রানার বিরুদ্ধে সিএমএম কোর্টে মামলা
|
![]() ধারের টাকা ফেরত না দেওয়ার বাহানায় বন্ধ ব্যাংক হিসেবের বিপরীতে চেক প্রদান করায় নুর মোহাম্মদ রানার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগ এনে গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার অন্তর্গত ডাবুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহ আলম চৌধুরীর ছেলে মো. ইখতিয়ার হোসেন। যার মামলা নং ৩৬৪/২০২২। মামলা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের রাউজান থানার অন্তর্গত হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তরসর্ত্তা এলাকার লস্কর উজীর বাড়ীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ রানা ও একই থানাধীন ডাবুয়া ইউনিয়নের আ. আজীজ দারোগার বাড়ীর মো. শাহ আলম চৌধুরীর ছেলে মো. ইখতিয়ার হোসেন পেশাগত কারণে ও নানা বাড়ীর লোক হওয়ায় একে অপরের পূর্ব পরিচিত। নুর মোহাম্মদ রানার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হলে সে মামলার বাদী ইখতিয়ার হোসেনের কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য সাত লাখ টাকা ধার চান। বাদী আসামীর সহিত সু-সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে আসামির ব্যাংক হিসাবে প্রথমে ইস্টার্ন ব্যাংক হিসেব নং ০০৩১০২০০৩০৩২৯ তিন লাখ এবং পরে একই ব্যাংকে হিসেব নং ০০৩১০২০০৩০৩২৯ তে চার লাখ টাকা প্রদান করেন। বিবাদী টাকা পরিশোধের নিমিত্তে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এসবি হিসাব নং- ০০৩১০২০০৩০৩২৯ এর অনূকুলে ছয় লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। বাদী ইখতিয়ার হোসেন পরদিন ৪ আগস্ট চেকটি ঢাকার তোপখানা রোডস্থ জনতা ব্যাংকে নগদায়নের জন্য জমা দিলে ব্যাংক ‘কাউন্ট ক্লোজড/ডরমেন্ট/ব্লক’ লখে চেকটি ফেরত দেন। পরবর্তীতে রানার সাথে একাধিকবার ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ করেও কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় তার বরাবরে একই বছরের ২৯ আগস্ট একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান বাদী ইখতিয়ার হোসেন। ৮ সেপ্টেম্বর লিগ্যাল নোটিশ পেয়েও কোনো ধরণের যোগাযোগ বা টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা না নেয়ায় অবশেষে তার বিরুদ্ধে বাদী সিআর মামলা দায়ের করেন মামলা নং - ৩৬৪/২০২২ (শাহবাগ) তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২২। মামলা প্রসঙ্গে বাদী ইখতিয়ার হোসেন বলেন, বন্ধ একাউন্টের চেক দিয়ে রানা আমার সাথে প্রতারণা করছে। সে আমার নানা বাড়ীর লোক হওয়ায় এবং একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করায় তার বিপদের সময় টাকার ভীষণ দরকার হওয়ায় আমার কাছে টাকা ধার চাইলে আমি সরল বিশ্বাসে তাকে দুই দফায় সাত লাখ টাকা ধার দেই। রানা যে এত বড় প্রতারক তা তখন বুঝতে পারিনি। ধারের টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রথমে দিবো দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এক পর্যায় আমার সাথে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তার সাথে ব্যক্তিগত দেখা করতে গেলে তিনি ছয় লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। যা ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃক ডিজঅনার করা হয়। এরপরও আমি তাকে অনেক বার টাকার জন্য তাগাদা দিয়েছি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি কিন্তু তিনি আমার টাকার কোন সুরাহ না করায় অবশেষে তার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। |