শিরোনাম: |
লাকসামে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে রুবেলের কারাবাস
|
![]() কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার বাতাখালীতে রুবেল হোসেন নামের এক যুবক ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ মাথায় নিয়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোাষ্টে। দীর্ঘ ছয় মাস কারাভোগের পর প্রাথমিকভাবে জানা গেল সে নির্দোষ। ধর্ষণের অভিযোগ টি সাজানো ও পাতানো নাটক।কিন্তু এর মধ্যে রুবেলের সর্বশান্ত হওয়ার দফারফা শেষ।জেলেখাটার পাশাপাশি আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এখন পরিবারটি নিঃস্ব। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গ থেকে লাকসাম এসে রিকশা চালাতে শুরু করে শরিফুল ইসলাম ওরফে টেঙ্গিয়া।একপর্যায়ে বিয়ে করেন ডুমুরিয়া গ্রামের শাহানারা আক্তার (বেজিকে)। তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক ২ মেয়ে ১ ছেলে। বড় মেয়ে সাহিদা আক্তার দু'বার অবৈধ গর্ভবতী হলে সাতবাড়িয়া গ্রাম থেকে সমাজচ্যুত হন। ছোট মেয়ে মৃদু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আঁখির বিরুদ্ধেও এলাকাবাসীর নৈতিক শৃঙ্খলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাত-বিরাতে যত্রতত্র ঘুরাঘুরি এই দুই কিশোরীর ওপেন সিক্রেট ব্যাপার। তাছাড়া তাদের ঘরে এলাকার ডজন খানেক বখাটে ও লম্পট চরিত্রের লোকজনের আনাগোনার জনশ্রুতি রয়েছে। সম্প্রতি বড় বোনের পথ অনুসরণ করতে গিয়ে আঁখিও গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এলাকার কতিপয় টাউট ও ধান্দাবাজ বিষয়টি পুঁজি করে পূর্বশত্রুতার জেরে রুবেলকে ফাঁসানোর ফাঁদ পাতে।গর্ভবতী আখিকে শেখানো হয় রুবেলের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ দাখিলের। যাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আখির মা শাহানারা আক্তার (বেজি)। মা বেজি নিজেই মামলার বাদী সাজে। লাকসাম থানায় ১৬ আগস্ট ২০২২ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। আসামি করা হয় রুবেলকে। সেই সুত্রে চাক্ষুষ সাক্ষ্য প্রমান ছাড়াই অভিযোগের ভিত্তিতে এস আই আমিরুল ইসলাম অভিযুক্ত(?) রুবেলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ৩ মাস পর আখির ঘরে একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় শনাক্তের জন্য আদালত ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেয়। সম্প্রতি টেস্ট রিপোর্টে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।আপাতত দৃষ্টিতে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পায় রুবেল। কিন্তু ছয় মাস মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে কারাবাস ,হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি কি আদৌ রুবেলের পরিবারের পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব? এখন প্রশ্ন উঠেছে আঁখির ঔরসজাত সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় নিয়ে। এলাকাবাসীর মতে আখিদের বাড়িতে যাতায়াতকারী হিসেবে ডুমুরিয়ার আবুল কাশেম, আঁখির নানা সুলতান ও আখির বাবা শরিফুল ইসলাম টেংগিয়ার ডিএনএ টেস্ট করলে প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্তকরণে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে |