শিরোনাম: |
হাজারিকা প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর ফেনী পাসপোর্ট অফিসে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া
|
![]() ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা সকল ক্ষেত্রেই বাস্তাবায়িত না হলেও ফেনী পাসপোর্ট অফিসে হচ্ছে। আর তার সুফল পাচ্ছে জনসাধারণ। প্রতিদিন রাজস্বের হার বাড়ছে সরকারের। ডিজিটাল বাংলাদেশের এমন ছোঁয়া লেগেছে ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে আয় হচ্ছে কোটি টাকা। এতে করে অনেকটাই ভোগান্তি কমেছে সেবাপ্রাপ্তিদের। ২০২২সালের ‘ফেনী পাসপোর্ট অফিসে বছরে ১০কোটি টাকা ঘোষ লেনদেন’ এ শিরনামে সংবাদ প্রকাশের পর দায়িত্ব প্রাপ্ত কার্মকর্তা সাধন সাহা, জেলা পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন বিভাগ নড়েছড়ে বসে। সংবাদের প্রকাশের সূত্রেদরে তৎকালিন জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্যা আল মামুন এক ঝটিকা অভিযান ছালিয়ে একদিনে ২২ দালালকে আটক করে। এতে করে ফেনী পাসপোর্ট অফিসের চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। একই সাথে ফেনী অফিসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই কার্যালয়ে দালালের দৌরাত্ম কমে যায়। ফলে এখন দালাল ছাড়াই সর্বোচ্চ সেবা পাচ্ছেন সাধারন গ্রাহকরা। এতে গত ৬ মাসে প্রায় ২৪ হাজার আবেদন জমা পড়ে। ই-পাসপোর্ট সম্পন্ন হওয়ায় নিয়মিত পাসপোর্ট গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আয় হচ্ছে মাসে কোটি টাকা ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় ই-পাসপোর্ট আবেদন নেয়া শুরু করে ফেনী অফিস। শুরুতেই কম আবেদন পড়লেও দিন দিন কয়েক গুণ বেড়েছে। ই-পাসপোর্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে অফিস কর্তারাও। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করছে তারা। পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নেরবিরলী গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ই-পাসপোর্ট জমা দিয়েছি। জমা দিতে তিনি কোনো ধরনের সমস্যা দেখতে পাননি। হয়রানি মুক্তভাবে আবেদন জমা দিয়েছি। তিনি বলেন কিছু পড়ালিখা জানাথাকলে নিজের আবেদন নিজেই করে দিতে পারেন। আমি আজ আমার পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। তবে ফেনী অফিসের এখনো তিন জন কর্মচারী নিয়মিত বিভিন্ন অভিসে গিয়ে নিয়োগের চেষ্ঠা করছেন। আমিও তাদের খপ্পরে পড়েছিলাম। নিজ কৌশলে রক্ষা পেয়েছি। পাসপোর্ট এ মাইক্রোপ্রসেসর চিপ ও স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেয়া হয়েছে। সেসব তথ্য চিপে যুক্ত আছে। সরকারের এই উদ্যোগের কারণে মানুষের হয়রানি ও জটিলতা অনেক কমে যাবে বলে জানায় সুবিধাভোগী হেলাল। আরেক আবেদন কারী বলেন ই-পাসপোর্ট পদ্ধতিতে পাসপোর্ট গ্রহীতারা সহজে আবেদন করতে পারেন। এতে ভোগান্তি কমেছে এবং দ্রুত সেবা পাচ্ছে। তবে ফরম পূরণের সময় ছবি সত্যায়িত করা লাগবে না। শুধু তাই নয়, ই-পাসপোর্টে মুঠোফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় আবেদনকারীর ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেয়া হয়। সেসব তথ্য চিপে যুক্ত থাকে। বিশেষ যন্ত্রের সামনে পাসপোর্টের পাতাটি ধরলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণ বা জরুরি উভয় ভাবেই আবেদন করা যায়। এ ব্যাপারে ফেনী পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সাধন সাহাবলেন, আগে ম্যানুয়ালি পাসপোর্ট ছিল। তা এখনো আছে। তবে সেটা আস্তে আস্তে বিবর্তন হচ্ছে। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও অনেক এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন ই-পাসপোর্টের আবেদন হচ্ছে। সহজেই গ্রাহকরা ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে পারে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রদক্ষেপ নিয়েছি। ফেনী অফিসকে দালাল মুক্ত রতে ইতিপূর্বে তিন কর্মচারীকে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর বদলী করা হয়েছে। সকল-কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাবধান করা হয়েছে। ই-পাসপোর্টের প্রতি মানুষের যেন আগ্রা বাড়ে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজও করছি। ফেনী অফিসকে দালালের দৌরাত্ম কমেছে। হয়রানি ও ঝামেলা মুক্ত সেবা দিতে আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। |