শিরোনাম: |
প্রথম চালানে ভারতে গেলো ৮ হাজার কেজি পদ্মার ইলিশ
উপজেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর)
|
![]() এরআগে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম চালানে ৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের এস আর ইন্টারন্যাশনাল। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১০ মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি মুদায় ৯৪৯ টাকা) রপ্তানি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক মাহাবুব রহমান। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি ইলিশ রপ্তানি করা হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় রপ্তানি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ সরকার। ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এরপর বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার ভারত সরকারকে শুভেচ্ছা উপহারস্বরূপ ইলিশ পাঠিয়েছে। গতবছর দুর্গাপূজায় ১১৫ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে সময় ইলিশ সংকট ও রপ্তানি মূল্যের চেয়ে কেনা মূল্য বেশির কারণে এক হাজার ১০৮ টন ২৮০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট যুথী এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, এবার প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৯৪৭ টাকা ৩৯ পয়সা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টম থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করা হবে। বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি রপ্তানিকারকের ইলিশ ভারতে গেছে। বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, প্রথম চালানে আট মেট্রিক টন ইলিশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে। দ্রুত রপ্তানি করার জন্য কাস্টমসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। |