শিরোনাম: |
ফেনীতে জিমনেসিয়ামের আড়ালে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, আটক ৫
|
![]() ফেনীতে জিমনেসিয়াম ব্যবসার আড়ালে মানুষকে অপহরণ ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। আটককৃতরা হলেন- ইমতিয়াজ উদ্দিন তোফায়েল, আনোয়ার হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাহিদ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম আরিফ। আটককৃতরা সবাই ফেনী জেলার বাসিন্দা। শনিবার তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধে ফেনী মডেল থানায় মামলা গ্রহণ শেষে বিকেলে সবাইকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপহরণের শিকার মো. সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তিনি ফেনীতে একটি বেসরকারি বীমা কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়, বসবাস করেন চৌদ্দগ্রাম। র্যাবের চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আফছার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অপহৃত সোহাগ মিয়া গত বুধবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের সময় ফেনীর মদিনা বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি বাসে চড়ে চৌদ্দগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর ফেনীর বিসিক রাস্তার মোড়ে তিন যুবক হাত তুলে বাসটি থামায়। তারা বাসে উঠে সোহাগ মিয়াকে বাস থেকে জোর করে নামিয়ে পাশের একটি জিমনেসিয়ামের নিচ তলায় একটি কক্ষে নিয়ে আটক করে তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে যায়। তখন সেখানে আরো দুইজন ছিল। তারা সবাই সোহাগ মিয়ার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করেন এবং তার মুঠোফোন দিয়ে তার স্ত্রীর কাছে টাকা দাবি করেন। এ সময় তারা সোহাগ মিয়াকে এসএস পাইপ দিয়ে পেটাতে শুরু করে। স্ত্রী প্রথমে তাদের জন্য তিন হাজার টাকা পাঠায়। পরে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে স্ত্রীর কাছে পাঠায়। পরদিন বৃহস্পতিবার তার স্ত্রী নানা কায়দায় ২৫ হাজার টাকা জোগাড় করে অপহরণ চক্রের সদস্য ইমতিয়াজ উদ্দিন তোফায়েলকে দেন। এ সময় আরো ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে সোহাগ মিয়া ছাড়া পায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কাউকে জানালে অনেক ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। মুক্ত হয়ে ওই দিন সোহাগ মিয়া ফেনী র্যাব ক্যাম্পে বিষয়টি জানায় ও অভিযোগ করেন। র্যাব সদস্যরা শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ফেনীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্য ইমতিয়াজ উদ্দিন তোফায়েল, আনোয়ার হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাহিদ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে আটক করে। ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা ও ৫ আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। |