শিরোনাম: |
ফেনীতে ১৪ বছরের ছেলেকে বলৎকারের অভিযোগে ধর্ষকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
|
![]() ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পাঠান নগর ইউনিয়নের বাথানিয়া গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত আমিনুল হকের পুত্র ব্যবসায়ী এনামুল হক ( ৫৫) এর বিরুদ্ধে বলৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষক এনামুল হকের দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন লোক দোকানে আপত্তিকর শব্দ শুনতে পায়। তাৎক্ষণিক তারা দোকানের দরজা খুললে ঢুকলে ১৪ বছরের একজন ছেলের সাথে বলৎকারের চিত্র দেখে ফেলে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে পূর্ব বাথানিয়া মুহুরী নদীর কূলে ধর্ষকের নিজ দোকানে এ ঘটনাটি ঘটে ভিকটিম ১৪ বছর বয়সী। পেশায় কাঠমিস্ত্রী। তার গ্রামের বাড়ি ফুলগাজীর মুন্সীর হাটে। সে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে থাকে। নানার বাড়িতে থাকা অবস্থা ছেলেটিকে নানা অপকৌলনে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩ দিন ধরে ছেলেটির সাথে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় ধর্ষক এনামুল হক, অভিযোগ ভিকটিমের। এ দিকে ভিকটিমের পিতা জানান , আমার সন্তানের উপর যে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় মহিলা মেম্বার হাছিনা আক্তার ও স্থানীয় মাস্টার মিজানুর রহমান পুলিশকে ফোন করলে ফোন রিসিভ না করায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েলের নির্দেশে শালিশ বৈঠক বসেন বলে জানান স্থানীয়রা। গ্রামের এই শালিশ বৈঠকে ধর্ষক এনামুল হক নিজের দোষ স্বীকার করেন। পরে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ১০ টি বেতের বারি, নাকে খত দিয়ে শাস্তি দেয়া হয়। ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক কাজ করবে না মর্মে মুসলেকা নিয়ে আসামীকে ছেড়ে দেয় বলে জানান স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ হারিস। এদিকে ধর্ষকের এমন শাস্তি কম হয়েছে দাবী করে ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে ফাঁসি দেয়া উচিত। নয়তো এমন নষ্ট চরিত্রের লোককে গ্রাম ছাড়া করে এলাকাকে কলংক মুক্ত করার দাবী জানান স্থানীয়রা। |