শিরোনাম: |
ফেনীতে শিশু আফরা হত্যার দায় স্বীকার করে ঘাতকের আদালতে জবানবন্দি
|
![]() ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের শিশু শিক্ষার্থী আফরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক আনোয়ার হোসেন স্বপন। সে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে। রোববার (২৬ জুন) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা। এসময় তিনি জানান, শনিবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় ঘাতক নিজেই আফরা হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের নিকট জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে পাষবিক নির্যাতন ও হত্যার বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন পুলিশ। এদিকে আপরার ময়নাতদন্ত শেষে রোববার (২৬ জুন) দুপুরে নিহত আফরার মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে শিশুটির নিজ গ্রাম নেয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাযাপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রাখেন স্থানীয় দাগনভূঞা উপজেলার চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, জায়লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মিলন ও শিশুটি হতভাগা পিতা ওসমান গনি। এসময় জানাযায় উপস্থিত জনতা আপরা হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানান। মিফতাহুল জান্নাত আফরা (৫) নামের শিশুকে পাষবিক নির্যতন করে হত্যা করা হয়। শনিবার (২৫ জুন) উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামে পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত আপরা স্থানীয় বক্সআলী ভূঞা বাড়ির ওসমান গনির মেয়ে ও নেয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী। শিশুটির ফুপু তোহরা আক্তার বিউটি জানান,আপ্রার বাবা ঢাকায় চাকুরি করেন।দুই ভাই-বোনের মধ্যে আফরা বড়। বাড়ীর পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয়।সকালে বিদ্যালযে গিয়ে ক্লাসের ফাঁকে পানি খাওয়ার জন্য বেরিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এলাকাবাসী জানায়, পরে অনেক খোজাখুজির পর দুপুরের দিকে বিদ্যায়ল সংলগ্ন কবরস্থানের ঝোপের ভেতর বড় একটি গাছের সঙ্গে মেয়েটির গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এরপর ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার ও এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঘাতক স্বপন ও বিদ্যালয়ের পিয়নসহ স্থানীয় আরও দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। |