শিরোনাম: |
৪ কর্মচারীর সিন্ডিকেটেই নিয়ন্ত্রন করেছেন ফেনী পাসপোর্ট অফিস
|
![]() ফেনীতে পাসপোর্ট নিয়ে জাল-জালিয়াতির রমরমা কারবার। পাসপোর্ট অফিসের ৪ কর্মচারী কর্মকর্তার চোখে ধুলা দিয়ে ভুয়া সিল-প্যাড ব্যবহার করে তৈরি হয় যাবতীয় নকল কাগজপত্র। টাকার বিনিময়ে সহজেই মেলে পাসপোর্ট। শহরের ১০ ট্রাভেল এজেন্ট ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনের দোকানঘর ঘিরেই তৎপর পাসপোর্ট দালাল চক্রের সদস্যরা। সরেজমিন অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে দুর্নীতি বাজ এসব কর্মচারীর নাম। অফিস শেষে তালিকা দরে তাদের হৃন্য ব্যবহার করা ট্রাভেল থেকে দৈনিক টাকা তুলে আনেন তাদের এক প্রতিনিধি। ফেনী পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সাধন সাহা এ অফিসের ঘুসবাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেন। তবে দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করে বলেন এখন কোন দালান নেই। ফেনী পুলিশের বিশেষ অভিযানে অনেক দালাল আটক হয়েছে। কোন কর্মচারীকে এ সকল কাজে জড়িত থাকার প্রমান মিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আমার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। দালাল নির্মূলে অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। খোজনিয়ে জানা গেছে, ফেনীতে এসিন্ডিকেটের চিহ্নিত দালালরা নিজেদের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের রেজিস্ট্রার্ড এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। বেশির ভাগ পাসপোর্ট প্রত্যাশী ই-পাসপোর্টের ফরম পূরণ করতে গিয়ে এদের ফাঁদে পড়ছেন। শহরের একাধিক ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় ফেনী পাসপোট অফিসের অফিস সহকারী মাফতুল হোসেনের কোর্ড নং- (ডি ওয়া), ডাটা এন্ট্রি আপারেটর সাইফুল ইসলামের কোর্ড নং- (ডাক্তার নাজিম উদ্দিন), অফিস সহকারী আবুল কালাম আজাদের কোর্ড নং- (আবুল হোসেন) ও রেকর্ড কিপার মোঃ ইসমাইলের কোর্ড নং- (এ এল) এসকল সংকেতিক হৃন্য দিয়ে সিন্ডি কেটের নামে এ অফিসে প্রতি দিন গড়ে ৫০/৬০টি পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়ে বলে জানান সিন্ডিকেটের মাঠেথাকা একাদিক কর্মীরা। তারা বলেন অনলাইনে পূরণ করা পাসপোর্টের ফরমের ওপর ওইসব এজেন্টের সিল দেওয়া হয়। এসকল হৃন্য থাকলে পাসপোর্ট অফিসের লোকজন বুঝতে পারেন এটি তাদের তালিকার সিল। প্রতিদিন বিকালে সাবেক আনসার সদস্য মোঃ লিটন তালিকা ধরে প্রতি জমা আবেদনের জন্য এক হাজার ২০০ টাকা করে নিয়ে যান। সেই টাকা বুঝিয়ে দেন অফিসের সিন্ডিকেটে দের হাতে । তাদের মাধ্যমে অফিসের অন্য সদস্যদের টাকার হিস্যা অনুপাতে বণ্টন করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শতে একাধিক অফিস কর্মচারী বলছে, বর্তমানে এখানে সিন্ডিকেট নেটওয়ার্কটির দায়িত্ব পালন করছেন অফিস সহকারী মাফতুল হোসেন ও ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোলার অপারেটর সাইফুল লতিফ গংরা। সহকারী পরিচালক শত চেষ্টা করেও তাদেরকে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছেনা। মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এ চক্রটি ঘুসবাণিজ্য চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অফিস সহকারী মাফতুল বলেন, আমার কোন সাংকৃতিক নাম্বার নেই। কেউ কেউ হয়তো করতে পারে। কিছু ট্রাভেল এজেন্ট আমাদের জন্য মাঝে মধ্যে কিছু খরছের টাক দেন। এ ব্যাপারে জানতে অপারেটর সাইফুল লতিফের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা ধরেননি। সাবেক আনসার সদস্য লিটন বলেন, আমার কোন নিয়মিত চাকুরী নেই,কয়েক জন স্যাররা আমাকে বিভিন্ন কাজে আমাকে ব্যবহার করছে। |