শিরোনাম: |
বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
![]() বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, এখন প্রত্যাশা বাড়ছে, দিনে দিনে আরও বাড়বে। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। সারা বিশ্বে তেল ও এলএনজি গ্যাসের দামের যে ঊর্ধ্বগতিসহ জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে সেটাকে মাথায় নিয়ে এগোনো আমাদের জন্য একটি চিন্তার বিষয়। আমরা সবকিছু মাথায় রেখেছি। আশা করছি, সামলাতে পারব। তিনি বলেন, রাষ্ট্র বা সরকার বিদ্যুতে কতটুকু বিনিয়োগ করবে এ জায়গাটা স্থিতিশীল রাখার জন্য। তবে এটার একটা শকড প্রাইস আছে, সরকার কতটুকু নিতে পারবে। এটা সরকারে অর্থ বিভাগ বুঝবে। আমাদের তো একটা প্রস্তাবনা আছে। তারা (অর্থ বিভাগ) যদি বলে সব শকড নেবে, তাহলে তো এখানে কোনো প্রশ্ন আসে না। যদি বলে না ফিফটি ফিফটি আমি শকডটা দেব (অর্ধেক ভর্তুতি দেব), তাহলে আরেক রকম প্রশ্ন আসবে। এটা নির্ভর করে ফাইন্যান্সের ওপর। তিনি আরো বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে আমরা আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ একটা ভালো জায়গায় যেতে পারবো। সাতশো নদীর দেশ বাংলাদেশের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আগামীতে বিদ্যুতের ব্যবহারের ব্যাপারে যেহেতু বিশ্বব্যাপী একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা উচিত।’ রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের সময় মসজিদের এসিগুলো অতিরিক্ত দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি করে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। যাতে আমরা ওই সময়টা কম ব্যবহার করে কতটুকু সাশ্রয়ী করতে পারি।’ বিদ্যুৎ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় নসরুল হামিদ বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি। এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া। প্রতিটি বিদ্যুৎকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জ্বালানি বিভাগও এ কৃতিত্বের অংশীদার। |