শিরোনাম: |
‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা মানেই রাশিয়ার ওপর হামলা : ন্যাটো
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। হামলার শুরু থেকেই ইউক্রেনের আকাশসীমায় ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। মূলত রুশ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করতেই এ প্রস্তাব দিয়ে আসছেলিন তিনি। কিন্তু তার এমন প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। ন্যাটোর প্রধান স্টলটেনবার্গ বলছেন, ইউক্রেনের উপর ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা মানেই রাশিয়ার ওপর হামলা। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) আলজাজিরার লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়। ন্যাটোর প্রধান বলছেন, ইউক্রেনের উপর ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার অর্থ রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষায় ব্যাপকভাবে আক্রমণ করতে হবে, যা ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে পূর্ণ যুদ্ধ শুরু হওয়া। এর আগে ‘নো-ফ্লাই জোন’ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তৃতীয় কোনো পক্ষ কর্তৃক ইউক্রেনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করাকে সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ হিসেবে বিবেচনা করবে তার দেশ। এটি শুধু ইউরোপ নয়, পুরো বিশ্বের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৫ হাজার ৮০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৯২৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সূত্র : আলজাজিরা |