শিরোনাম: |
বিএনপির রাজনীতি ও লবিষ্ট নিয়োগের উদ্দেশ্য ফাঁস হলো ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে!
মোঃকাওছার
|
![]() যার নেতৃত্বে মহান ভাষা ও স্বাধীনতা পেয়েছি তাকে হত্যা করে অন্য একটি দালাল গোষ্ঠী যারা কিনা এদেশের মানুষকে ব্রেন ওয়াশ করেছিল।বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট স্বপরিবারে হত্যা করেছিল।জনককে সপরিবারে হত্যার এক মাস দশ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর সভ্যতা ও মানবতার ইতিহাসের যে ভয়ংকর কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় সে অধ্যাদেশের মূল কথা হলো, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে আইনের পরিপন্থী যা কিছুই ঘটুক না কেন খুনিদের বিরুদ্ধে কোনও আদালতে মামলা বা অভিযোগ দায়ের করা যাবে না। নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের পর খুনিদের যাতে বিচার করা না যায় এবং হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের নাম যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনি মোশতাক। এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশে খুনি মোশতাকের স্বাক্ষর থাকলেও অনেকেই মনে করেন এই অধ্যাদেশ জারির পেছনে মূল ক্রীড়নক ছিলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৯ দিনের মাথায় সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহকে হটিয়ে নতুন সেনাপ্রধান বনে যাওয়া জিয়াউর রহমান। আবার নাটকের জন্ম দেন ১৯৮১ সালে ১৭ ই মে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আসার সুযোগ করে দেওয়া দাবীদার।বাবার মৃত্যুর পর সন্তানের না দেখা কত কষ্টকর যেখানে তার স্বপরিবারে হত্যা করা হয়।দুই কন্যা বেচে গিয়েছিল সে দিন তারা বিদেশে ছিল।জনগণের চাপে অনুমতি দিতে বাধ্য করে জিয়াউর রহমানকে।হত্যার মাধ্যমে সে দিন তিনি বিএনপি নামক দল গঠন করে।যাদের স্বভাব খুনের মাধ্যমে রাজনীতি করা তারা জনগণের সেবক হয় কেমনে? আবার ১৯৯৬ সালে বঙ্গকন্যা ক্ষমতায় আসলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।দেশে আবার স্বস্তি হয় তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় ভয় পায় ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট তাকে মারার জন্য তৎকালীন বিএনপি জামায়াত চক্র গ্রেনেট হামলা করে।অল্পের জন্য বেচে যান মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেচে যান।সে দিন তার দেহরক্ষী ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সহ ২৪ জন মারা যান।হাওয়া ভবনের কর্নধর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। শেখ হাসিনাকে মারার জন্য অনেকবার চেষ্টা করছে প্রায় ২০ বার চেষ্টা করছে কথায় কথায় ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তির হুমকি শুনি বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের মুখে। ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে ‘১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট’ নিয়ে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট এগুলো কোনও বিষয় না, এরকম দুর্ঘটনা হতে পারে। এটা নিয়ে সারাজীবন কান্নাকাটির কী আছে?’ এসব ঘটনা প্রমাণ করে ইনডেমনিটির বিষয়ে জিয়ার অনুসারীদের অবস্থান ও জিয়ার অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি।তাদের ফর্মুলা হল মাইনাস শেখ ও যুদ্ধাপরাধী আবাসন।দেশবিরোধীদের ছায়া হওয়া দেশকে অন্যর কাছে বিক্রি করা আর জনগণকে ব্রেনওয়াশ করা। এখন আবার নিজেদের শক্তি গেছে তারা এখন অন্যর উপর নির্ভর করছে লবিষ্ট নিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্রকে।যে দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হত্যার রাজনীতি করে তাদের উপর ভরসা করছে।অথচ তারা গুপ্ত হত্যার সাথে জড়িত তারা নিজেদের প্রভাবের জন্য বিশ্ব যারা নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখে তাদের রাখেন না। বিশ্ব নেতাদের অনেককেই তারা মেরেছেন তাদের কথা না শুনায়। যেমন, মুয়াম্মার গাদ্দাফী কে হত্যা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ফক্স নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় মার্কিন কর্মকর্তারা।নাইন এলিভেনের পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ ইরাকের প্রেসিডেন্টকে ৪৮ ঘন্টা সময় দেন দেশ ত্যাগের জন্য কিন্তু ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম অস্বীকৃতি জানায় দেশত্যাগের জন্য। তারপর ২০০৩ সালের ২০ মার্চ মিথ্যা অভিযোগ হামলা চালায় ডিসেম্বরে তাকে গুহা থেকে আটক করে ২০০৬ সালে মানবতাবিরোধীর জন্য।তাকে ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলা হয়।২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআই রয়টার্সকে জানিয়েছিল তারা জড়িত। ইরানের কাসেম সোলাইমানিকে তারা হত্যা করছে।কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আন্দোলনের প্রবক্তা মার্টিন লুথার কিং কে হত্যা করে ছিল। এবং আলোচিত বিষয় ছিল আশ্চর্যাজনকভাবে ৬৩৮ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোকে চুরুটের ভিতর বিশ মাখিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র ও স্বীকার করেছিল এই বিষয়। এরকম অনেক বিষয় আছে তারা নিজেদের জানান দিতে এ কাজ করে একক প্রতিপত্তির জন্য। ভিয়েতনামের এক প্রেসিডেন্ট ও আরও অনেক রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার নেতৃত্বে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। পুতিনকে হত্যার জন্য মার্কিন এক সিনেটর রাশিয়ার জনগণকে নির্দেশ দিয়েছেন এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে।শুধু পুতিন তাদের নির্দেশ মানে না তাই।ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের কেন এত মাথা? পৃথিবীতে গুপ্ত হত্যায় বেশিরবাগ নাম জড়িত শোনা যায় ইসরায়েলের মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কিন্তু আন্তজার্তিক মহলে শোনা যায় সবচেয়ে গুপ্ত ও প্রকাশ্য হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআই এর নাম। বিএনপি রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে রাখে আল্লাহ মারে কে ২১ বছর পর আবার অলৌকিক ভাবে বেচে যাওয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশে এসে মানুষের জন্য কাজ করেন। তা দেখে বেগম জিয়া ও তার পুত্ররা মিলে ২১ আগষ্ট করেন তাতেও কাজ হয় নাই তারপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে মসনদে বসিয়ে রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশ আজ বিশ্বের মডেল।তারপর উপায় না দেখে এখন যুক্তরাষ্ট্রকে লবিষ্ট নিয়োগ করছে। কথা পরিষ্কার যে ক্ষমতায় বসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অংশীদারী করে। বেচে যাওয়া ১৫ ই আগষ্টের সন্তানদের বর্তমান দৌহিত্রদের বিনাশ করার নকশা করছে।পরিষ্কার বাসনা ফুটে উঠেছে।পুতিনকে হুমকি দিয়েছে মৃত্যুর জন্য।ভিবিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র।বাংলাদেশকেও ভিবিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এই যুক্তরাষ্ট্র।এর উদ্দেশ্যকি তা বিশ্ববাসী জানে।ইতোমধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এক বিবৃতি দেওয়ার সময় লবিষ্ট নিয়োগ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে দেশ বিরোধীতা করছে, সে দেশ কোন সময়ই ভালো চায় নাই বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ স্বধীন হোক তা চায় নাই। স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতেও বিলম্বিত হয়েছিল তারা জাতিসংঘের সদস্য পদ পেতেও আমাদের অনেক বেগ পোহাতে হয়েছে।অথচ আজ আমরা দেশকে ধ্বংসের জন্য ধরনা দি।কি বলব তারা কি দেশপ্রেমের জন্য রাজনীতি করে না। নিজেদের ভাগ্য আর প্রভুদের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করে।এ দেশের মানুষ জানে আর কোন ১৫ ও ২১ আগাষ্ট ঘটুক চায় না।তার প্রমাণ একাধারে ৩ বারে নির্বাচনে জয়লাভ।এ দেশে কোন বিদেশী দালালদের ঠাই নাই তা রুখে দিবে জনগণ। সরকারি বিএম কলেজ বরিশাল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট (২০১৯-২০)। |