রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর, 2০২3
আমি যদি পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করতাম তাহলে বঙ্গবন্ধুকে অষ্টমাচার্জ হিসাবে ঘোষণা দিতাম
মোঃকাওছার
Published : Tuesday, 1 March, 2022 at 4:36 PM

একটি নক্ষত্র উদয় ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জে এক বিস্ময়কর মানবের জন্ম।অকল্পনীয় এক ব্যাক্তি যার পুরো জীবনই কেটেছে সংগ্রাম আর আন্দোলনে মানুষের কল্যাণের জন্য।একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা তাদের ভাষা কি হবে তার জন্য আন্দোলন করেছেন।এই মহামানব আর জন্মামে না পৃথিবীতে।নিজের জীবনকে বাজি রেখে তিনি পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।একটি দেশের কল্যাণের জন্য সপরিবারে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এই বিরাল দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে আছে কিনা আমার জানা নাই।

কে এই বঙ্গবন্ধু :
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ই মার্চ ১৯২০ – ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধু, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়।এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।জনসাধারণের কাছে তিনি “শেখ মুজিব” বা “শেখ সাহেব” নামে এবং তার উপাধি “বঙ্গবন্ধু” হিসেবেই অধিক পরিচিত।

মাতৃভাষা অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ:
ভাষা আন্দোলন শুরু করেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের জন্য আটক হন।তখন তিনি কারাবন্দী হন তার এই নেতৃত্বেই তৎকালীন সময় ছাত্র,শিক্ষক,পেশাজীবি  সাধারণ মানুষরা ভাষার জন্য আন্দোলন করে অধিকার আদায় করেন। তার এই কারাযাপনের পেছনের কারণ ভাষা আন্দোলন যার প্রমাণ পাওয়া যায় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে।

পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্ট যেটি ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য ন্যাশন’ নামে একটি ফাইলে সংযুক্ত ছিলো, সে সকল নথিতে ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিব এর অবদান, প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ রয়েছে। আজকে যে বাংলা ভাষায় কথা বলি এবং স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি তা একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কারণেই সম্ভব হয়ছে।

জাতির জনক ও জাতির পিতা:

একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বৃটিশ থেকে মুক্ত করে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়ে আবার একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ করে।৩০ লক্ষ শহীদ হয় এই যুদ্ধে যার নেতৃত্বে এই মহামানব।তিনি বাঙালি জাতির জনক।
তিনি বাঙ্গালী জাতির প্রতিষ্ঠাতা তাকে এই জাতির পিতা বা জনক বলা হয়।আমরা এই বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান থেকে নামকরণ করেছেন জাতির পিতা।তার অবদান অবিস্মরণীয়।

তিনি এক আশ্চর্য মানব :

ক্লাস এইটে থাকা অবস্থায় তিনি মানুষের জন্য অধিকার আদায়ের জন্য জেল খাটছেন।সেই থেকে শুরু ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন।মৃত্যুর মুখে দাড়িয়ে বার বার তিনি এদেশের স্বাধীনতার কথা বলে গেছেন।সারে বারো বছর জেল খেটেছেন ঐ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন।

তার ছেলেও বঙ্গবন্ধুকে চিনতে পারে নাই এযে তার বাবা।তিনি প্রতিটি আন্দোলন অগ্রাধিকার পালন করতেন।তিনি মহামানব পৃথিবীতে এমন বিরল নেই আমার মনে হয়।যে ব্যাক্তি ভাষা ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।তিনি পাকিস্তানের অন্যায় অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য এ দেশ স্বাধীন করেছেন।নিম্ন প্রদেশ ছিল তখন বাংলা কোন অস্ত্র ছিল না পাকিস্তান ছিল শক্তিশালী দেশ সে খান থেকে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ গঠন করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জেলে ছিলেন তাকে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে গ্রফতার করে ১৯৭২ সালে মুক্তি দেয়।তার আগে তিনি ৭ ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ লক্ষ মানুষের মাজে জানিয়ে দিয়েছিলেন আমি যদি নাও থাকি মাত্র ১৮ মিনিটের অলিখিত বক্তব্য পেশ করে বিশ্বকে জানান দিয়েছিলেন এ বাংলা কোন দখলদারের নয়।তিনি এক মহাকবির মতো দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। ২৫ মার্চ চূড়ান্ত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

১৯৭৫ সালে পাকিস্তানের পেতাত্নারা তাকে সহ স্বপরীবারে হত্যা করে দুই কন্যা বিদেশে অবস্থান করছিল তারা বেচে গিয়েছিল একজন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা।তারা এই দেশকে লুটতে চেয়েছিল তার জন্য এই নক্ষত্রকে বিদায় করার জন্য উঠে পরে লেগেছিল।যে দিন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে গুলি করে তখন মনে হয় বঙ্গবন্ধু বলেছিল একটি কথাই আমার পরিবার মারো আমাকে মারো দেশকে তোরা ক্ষতি করিস না।

যেই মানুষটি নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করলেন দেশ ও জাতি তার প্রাণ ও ভালোবাসা।নিজের জীবনকে তোয়াক্কা করে নাই কোন সময়।
আমি যদি পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করতাম তাহলে বঙ্গবন্ধুকে অষ্টমার্য হিসেবে ঘোষণা করতাম তাকে নোবেল পুরষ্কারে বিজয়ী করতাম।বাংলাদেশে ২০০৬ সালে ক্ষুদ্র ঋণের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয় ডক্টর ইউনুসকে আমার বঙ্গবন্ধু ডক্টর ইউনুসের চেয়ে যোগ্য ব্যাক্তি।

অথচ যে ব্যাক্তি একটি জাতির ভাষা ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অত্যাচার,নির্যাতনের,বৈষম্য থেকে শান্তির জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিল।১৯৫২ সালে ভাষা ১৯৭১ সালে রাষ্ট্র তিনিতো নোবেল পাওয়ার যোগ্য ছিল ১৯৭২ সালে তাকে কেন পুরষ্কার দেওয়া হয়নি?

তাকে পরবর্তীতে উচিত ছিল মরণোত্তর নোবেল পুরষ্কার দেওয়া।তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর শুধু বাংলাদেশের নেতাই হন নি তিনি বিশ্বনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন।তিনি দেশকে সবসময় হৃদয় ধারণ করতেন।তিনি জাতিসংঘে প্রথম নিজ মাতৃভাষায় বক্তৃতা দিয়েছেন। তার জীবন আদর্শের জন্য জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএচডি শিক্ষা চালু করা উচিৎ এমন নেতার জন্য।আমি তাকে কোন দল হিসাবে বিবেচনা করি না তিনি সকলের।এই বাঙ্গালী জাতির পিতা,জাতির জনক।তিনি বঙ্গবন্ধু নন বিশ্ববন্ধু হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন,ফিদেল কাষ্ট্রে বলেছিন,আমি হিমালয় দেখিনি,আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দেখেছি।।

যদি করি কোন সময় বিশ্বজয়,

তোমাকে নিয়ে যাব অনন্য উচ্চতায়।

জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান,

আমি বাংলাদেশ হৃদয় আমার গোপালগঞ্জ।।


সরকারি বিএম কলেজ বরিশাল,

রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট (২০১৯-২০)।


প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি