শিরোনাম: |
সিলেটকে হারিয়ে প্লে-অফে চট্টগ্রাম
|
![]() হয় মারো, নয় মরো। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার। শেষ পর্যন্ত উইল জ্যাকস তার ক্যারিয়ার সেরা ৯১ (৫৭) রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সিলেট সানরাইজার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নিশ্চিত করল প্লে-অফে খেলার টিকিট। এই ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল মিনিস্টার ঢাকার ভাগ্যও। চট্টগ্রাম হারলে সরাসরি প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেত ঢাকার। এখন ঢাকাকে তাকিয়ে থাকতে হবে খুলনা টাইগার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচের দিকে। ম্যাচটায় খুলনা হারলেই কেবল প্লে-অফ নিশিত হবে ঢাকার। শনিবার দুপুরের ম্যাচে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন দুই ওপেনার কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক। ইনগ্রাম ১৯ বলে ২৪ রান করে ফেরেন মেহেদী মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। এনামুল হক বিজয় ২৬ বলে ৩২ রান করে ফেরেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে বোল্ড হয়ে। মিজানুর রহমানকে রানের খাতা খুলতে দেননি মৃত্যুঞ্জয়। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪১ বলে ৮০ রান তোলেন লেন্ডিল সিমন্স ও রবি বোপারা। সিমন্সকে ৪২ (২৭) রানে ফেরান মৃত্যুঞ্জয়। বোপারআকে ৪৪ (২১) রানে বিদায় করেন শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত ৩৫ (২২) রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে সিলেট। চট্টগ্রামের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়। ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ও মিরাজ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের ওপেনার জাকির হোসেন ৯ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন সোহাগ গাজীর বলে ক্যাচ দিয়ে। অধিনায়ক আফিফ হোসেনকেও সোহাগ গাজী ফেরান ৭ রানে। দলের বিপাকে চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে ৪১ বলে ৬৯ রান যোগ করেন উইল জ্যাকস। ওয়ালটন ৩৫ (২৩) রান করে ফেরার পরও থেমে যাননি জ্যাকস। তুলতে থাকেন ঝোড়ো গতিতে রান। মাঝে শামিম হোসেন ৭ বলে ২১ রান করে ফিরলে মেহেদী মিরাজও ফেরেন ২ রান করে। চাপে পড়া চট্টগ্রামকে শেষ পর্যন্ত ৮ চার ও চারটি ছয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ৪ উইকেটে জয় এনে দিয়ে নিশ্চিত করেন প্লে-অফে খেলা। সিলেটের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী ও আলাউদ্দিন বাবু। ১ উইকেট নেন লেন্ডিল সিমিন্স। |