শিরোনাম: |
চাকরির প্রলোভনে ভাতিজিকে যৌনপল্লিতে বিক্রি
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
বরিশালে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভাইয়ের মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যৌনপল্লিতে দুই লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় মামলাটি করেন নির্যাতনের শিকার ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী। মামলায় ওই তরুণীর ফুফু নুপুর বেগম, ফুপা নজরুল ইসলাম এবং বন্দর থানাধীন নরকাঠী এলাকার সোহেল খানকে আসামি করা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, ওই তরুণী তার ফুফু, ফুপা ও চাচার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছি। মামলা তদন্ত সাপেক্ষে এর সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী জানান, ১৪ মাস আগে তার বিয়ে হয়। তবে, পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ের দুই মাসের মধ্যে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তার বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ফুফু-ফুপা, তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৯ মাস আগে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে জুরাইন শনির আখড়ার ভাড়া বাসায় রাখেন। তিনি আরও জানান, চাকরির কথা বললেও ঢাকায় গিয়ে দেখি, অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেক ছেলে-মেয়ে বাসায় আসা যাওয়া করে। কয়েক দিন পর ফুফু ও ফুপা মিলে আমাকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেন। আমি তাতে বাধা দিলে তারা মারধর করেন। গলা চেপে, মাথা দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করে নির্যাতন চালায়। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ মাস সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয় তাকে। তখন মা-বাবার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে দিত না। যদিও বলতে দিত তাহলে তাদের শেখানো কথা বলতে হতো। সারাক্ষণ ফুফু পাশে থাকতেন। চার মাস আগে তাকে অন্য আরেকজনের কাছে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন তারা বলেও জানান ওই তরুণী। জানা গেছে ফুফুর বাসার কাজের বুয়ার সহযোগিতায় চলতি বছরের ১০ জুলাই পালিয়ে ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে ১১ জুলাই বরিশালে এসে পৌঁছান তিনি। তবে বাড়িতে এসে তিনি তার বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনকে বিষয়টি জানাননি। পুনরায় তাকে দেহ ব্যবসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা করলে বিষয়টি প্রকাশ করেন ওই তরুণী। মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে তিনি প্রথমে মামলায় না গেলেও পরে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করে মামলা দিতে বিলম্ব হয়েছে। |