মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, 2০২4
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড চক্রান্ত এখনো চলছে
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
Published : Tuesday, 31 August, 2021 at 9:20 PM

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তান একটি নতুন যুদ্ধ শুরু করেছে মনে হয়। কয়েক দিন ধরেই দেখছি অনলাইনে একটার পর একটা ফিচার। এই ফিচারে বক্তব্য দিচ্ছেন একজন বাঙালি। গত ২৯ আগস্ট যে ফিচারটি দেখেছি, তাতেও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, জেনারেল সফিউল্লাহ এবং আরো অনেকের তৎকালীন বক্তৃতা-বিবৃতির অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে বলার চেষ্টা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের সামরিক জান্তার সঙ্গে আপস করে চলেছেন এবং জেনারেল ইয়াহিয়াকে প্রেসিডেন্ট রেখে নিজে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। এই অনলাইন ফিচারের সঙ্গে একই দিনে একটি সাক্ষাৎকারও দেখেছি। সেটি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতা মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের। তিনি আবার একজন বীরপ্রতীকও।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানই যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা প্রমাণ করার জন্য তিনি একটি চমৎকার রূপকথা তৈরি করেছেন। তাঁর মুখে এই রূপকথাটি শুনে মনে হয়েছে ভদ্রলোক সেনাবাহিনী ছাড়ার পর রূপকথার গল্পের লেখক হলে ভালো করতেন। তাঁর উদ্ভাবনীশক্তি আছে এবং কল্পনাশক্তিও প্রখর। তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী জিয়াকে এতই ভয় করত যে চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজে অস্ত্র খালাসের নামে তাঁকে ডেকে এনে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। ইবরাহিম সাহেবের কল্পকাহিনিতে বলা হয়েছে জিয়া বিদ্রোহ করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। তাঁর ওপরওয়ালা পাঞ্জাবি কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি টক্কর দিয়ে কথা বলেন এবং রাজনীতিকরা যখন স্বাধীনতা ঘোষণায় ব্যর্থ হন, তখন বীর জিয়া কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৫০ বছর হয়। দীর্ঘ অর্ধশতকে আমাদের জাতীয় জীবনের কতগুলো প্রতিষ্ঠিত সত্য দেশে ও বিদেশে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই সত্যগুলো হলো বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি ও ফাউন্ডিং ফাদার। স্বাধীনতার ঘোষকও ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা তাঁকেই তাদের একমাত্র শত্রু মনে করেছে। তাঁকেই তারা মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস জেলে আটক রেখেছে এবং ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধও তাঁর নামে এবং তাঁর নেতৃত্বে হয়েছে। পাকিস্তান যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে এগিয়ে আসত, তাহলে উপমহাদেশের চিত্র অন্য রকম হতো। চীন ও ভারতের কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের বাইরে থেকে দুটি দেশই দক্ষিণ এশিয়ায় গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিভূ হয়ে উঠতে পারত।

হয়তো কাশ্মীর সমস্যারও একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যেত। পাকিস্তান সে পথে হাঁটেনি। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম শুধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেনি, পাকিস্তানের জনগণকেও সামরিক শাসনের থাবা থেকে মুক্ত করতে পেরেছিল। পিপলস পার্টির নেতা হিসেবে ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। বহু পাকিস্তানি এই সত্যটা স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিল। ভুট্টো এই সত্যটা জেনেও স্বীকার করতে পারেননি, বরং বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে হত্যা করতে হবে তা নিয়ে ক্ষমতায় বসেই চক্রান্ত আঁটতে শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে ভুট্টোর দিকে মিত্রতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভুট্টো বন্ধুত্বের সেই প্রসারিত হাত ধরার অভিনয় করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনায় যোগ দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভুট্টোর বাংলাদেশকে নিয়ে যে আশা ছিল, তা পূর্ণ হয়নি। মোশতাকের দ্বারা বাংলাদেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেন্ট স্টেট হিসেবে যুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল ভুট্টোর। সেই পরিকল্পনা কার্যকর করার আগেই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ভুট্টোকে সরিয়ে ক্ষমতা আবার তাদের হাতে নেয়। এই সামরিক জান্তার ইন্টেলিজেন্স তাদের গোয়েন্দা সংস্থায় আগে যেসব বাংলাদেশি কর্মকর্তা ছিলেন, যেমন—জিয়াউর রহমান, কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অনুরূপ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালায়। জিয়া তাঁর সাবেক পাকিস্তানি বসদের নির্দেশে পাকিস্তানের অনুকরণে বাংলাদেশ বেতারকে রেডিও বাংলা, জয় বাংলা স্লোগানকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদে রূপান্তর করেন। তিনি জাতীয় সংগীতও পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন, কবি আল মাহমুদকে ডেকে নতুন জাতীয় সংগীত রচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসানের বিরোধিতায় তা পারেননি। ক্ষমতায় বসে তিনি স্বাধীনতার শত্রু গোলাম আযমসহ অনেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে পাকিস্তানি পাসপোর্টসহ রাজনীতি করার অনুমতি দিয়েছেন। জেলে বন্দি ১১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা ও সেনাকে হত্যা করেছেন। কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দিয়েছেন। বাংলাদেশের সংবিধান তাঁর একক ইচ্ছায় বিকৃত করে সাম্প্রদায়িক চরিত্র দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের উচ্চ সরকারি পদ দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।

এহেন জিয়াউর রহমানকে মেজর জেনারেল ইবরাহিম বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীর সেনানী বানানোর চেষ্টা করেছেন এবং রূপকথার একটি গল্প তৈরি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে আরো তিনজনের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন অখ্যাত মেজর। তাহলে আর তিনজন মেজরকে হত্যার চেষ্টা না করে শুধু একজন মেজরকে পাকিস্তানিরা হত্যার চক্রান্ত করবে কেন? তারা যাঁকে শত্রু মনে করেছে, সারা বিশ্বে পরিচিত সেই শেখ মুজিবুর রহমানকেই ধরে নিয়ে ফাঁসির মঞ্চে চড়ানোর ব্যবস্থা করেছিল। জিয়াউর রহমান গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের নির্দেশে অস্ত্র নামাতে। পথে কর্নেল অলিসহ তাঁর কয়েকজন বন্ধু জানান, পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি হত্যা শুরু করেছে। ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে বাঙালি পুলিশ বিদ্রোহ করেছে। সারা রাত যুদ্ধের পর তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। এ কথা শুনে জিয়া আর সোয়াত জাহাজে যাননি। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁকে ধরে এনে কালুরঘাট বেতার ঘাঁটি থেকে তাঁকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করান। এই হচ্ছে ইতিহাস। আর বীরপ্রতীক ইবরাহিম সাহেব যা বলেছেন, তা রূপকথা। এই রূপকথা বহুবার জাতিকে শুনিয়ে বিভ্রান্ত করা যায়নি। এখনো করা যাবে, এটা ভাবা বোকামি।
১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার একটি ধারা বিবরণী প্রচার করা হয়েছে অনলাইনে। এই ধারা বিবরণীতে তৎকালীন বিভিন্ন নেতার বিবৃতি ও খবরের কাগজের নিউজ কাটিং যোগ করে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে, শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি প্রথমে আইয়ুব এবং পরে ইয়াহিয়ার সঙ্গে গোপনে আপস করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। এই কথিকাটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সব কৃতিত্ব মওলানা ভাসানীকে দেওয়া হয়। মওলানা বেঁচে থাকলে নিজেই এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতেন।
কথিকায় তখনকার রাজনৈতিক নেতাদের, এমনকি বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা এমনভাবে এডিট করা হয়েছে যে কোনো পাঠক, যার অতীতের ইতিহাস সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই, তার মনে হবে এই কথিকা সম্পূর্ণ সত্য। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালে হিটলারের প্রচারসচিব, মিথ্যা প্রচারের রাজা গোয়েবলস যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ব্রিটেনের অবস্থা সম্পর্কে যে প্রচার চালিয়েছিলেন, তা শুনে চার্চিল বলেছিলেন, ‘আমি যদি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী না হয়ে একজন সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিক হতাম, তাহলে গোয়েবলসের এই মিথ্যা প্রচার সত্য মনে করতাম।’
বঙ্গবন্ধুকে হেয় করে এবং মওলানা ভাসানীকে সব কৃতিত্ব দিয়ে যে কথিকাটি অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে, তা দেখে নতুন বামপন্থীরা হয়তো মনে করতে পারেন, এটা বুঝি বামপন্থীদের প্রচারণা। তাঁরা বিভ্রান্ত হবেন না। এটা পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের কাজ। সহায়তা দিয়েছে পাকিস্তানের অনুচর বাংলাদেশিরা। ব্রিটিশ সরকারের রাগ যতটা গান্ধী-নেহরুর ওপরে, তার চেয়ে ১০০ গুণ রাগ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ওপরে। সুভাষ বসুই প্রকৃতপক্ষে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে ভারতের পূর্বাঞ্চলে ইম্ফল, মণিপুর পর্যন্ত আঘাত করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ফলে ব্রিটিশ মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট কাহিনির অন্ত ছিল না।

পাকিস্তানি মিলিটারি জান্তা ১৯৭১ সালে শোচনীয় পরাজয় বরণের পর প্রথমে তাদের গোয়েন্দা সার্ভিসের সাবেক জুনিয়র অফিসার জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর স্থলে বাংলাদেশের জাতীয় নেতা করার চেষ্টা চালায়। জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক এবং তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বলে প্রচার চালায়। বেনজির ভুট্টো একবার লন্ডনে এসে ফরেন প্রেস ক্লাবে তাঁর বক্তৃতায় জিয়া সম্পর্কে এই থিওরি ঝাড়তেই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, জিয়াউর রহমানই যদি স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা হন, তাহলে আপনার পিতা ও ইয়াহিয়া খান কেন বারবার শেখ মুজিবের সঙ্গে বৈঠকে বসতেন? জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বসলেই তো পারতেন। ‘

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক’ বেনজির ভুট্টো এ কথা বলতেই এক প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণা বেতারে পাঠ করলেই যদি কেউ স্বাধীন বাংলার প্রতিষ্ঠাতা হয়ে যায়, তাহলে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির পিতা তো জিন্নাহ নন। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা এবং পিতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। জিন্নাহ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করেননি, তার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠাও দেননি। মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে ফজলুল হক পাকিস্তান প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান জাতীয় সংসদে পেশ করেন, তা গৃহীত হয়। এদিক থেকে তো ফজলুল হক পাকিস্তানের নৃপতি ও জাতির পিতা। বেনজির ভুট্টো এ প্রশ্নের জবাব দেননি। তিনি তাঁর ‘ডটার অব দ্য ইস্ট’ নামক আত্মজীবনীমূলক বইয়ে শেখ মুজিবকে বাংলাদেশের স্থপতি বলে উল্লেখ করেন। তবে ১৯৭১ সালের গণহত্যায় তাঁর পিতারও যে অবদান আছে সেটা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে পাকিস্তানের সামরিক জান্তার মোহ অনেকটা ভঙ্গ হয়েছে। জিয়াকে খলনায়ক থেকে মহানায়কে পরিণত করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা চক্র এখন আবার মওলানা ভাসানীর ওপর নজর দিয়েছে। মওলানা সাহেব একজন জনপ্রিয় ও আদর্শবাদী নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুও তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর সব কৃতিত্ব হরণ করে মওলানা ভাসানীকে তাঁর স্থানে বসানোর জন্য একটা নতুন নিউক্লিয়াস তৈরি করা হয়েছে। যদি ভাসানীকে হিরো বানানো না যায়, তাহলে তাজউদ্দীন আহমদকে কবর থেকে তুলে এনে ‘শেখ মুজিব তো জেলে ছিলেন, তাজউদ্দীনই দেশ স্বাধীন করেছেন’—এই মর্মে একটি মৃত প্রচারণাকে আবার জীবনদানের চেষ্টা চলছে। মওলানা ভাসানী ও তাজউদ্দীন আহমদের বক্তব্য বলে এখন যা চালানো হচ্ছে, দুই নেতা বেঁচে থাকলে তার তীব্র প্রতিবাদ করতেন। সত্য না মিথ্যা জানি না, শোনা যায় জাতীয় চার নেতার একজনের পরিবারের এক সদস্যকে আমেরিকা সমাজসেবার নাম করে মাঠে নামিয়েছে। উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতে রাজনীতিতে ব্যবহার করা। ফজলুল হক সাহেব একবার বলেছিলেন, ‘শেওড়াগাছে কেউ ঢিল মারে না। মারে ফলভারে নত আমগাছেই।’ তিনি আরেকবার বলেছিলেন, মৃত মানুষকে কেউ আঘাত করে না; যদি করে তাহলে বুঝতে হবে মৃত মানুষটি জীবিত। দুটি কথাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে প্রয়োজন।


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি