শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
ভারতে ২০২০ সালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বিদেশিদের ৫৪ শতাংশই বাংলাদেশি
Published : Sunday, 25 July, 2021 at 9:26 PM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশিদের হার ক্রমেই বাড়ছে। একযুগ আগেও ভারতে মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশিদের হার ছিল ২৩ শতাংশের মতো, সেখানে গত বছর এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশের বেশি। ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত সবশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালে ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক গেছে বাংলাদেশ থেকে। গত বছর ভারতের মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দ্বিতীয় ইরাকিরা, তাদের হার ৯ শতাংশ। এরপর আফগানিস্তান থেকে ৬ শতাংশ, মালদ্বীপ থেকে ৪ দশমিক ৫ এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে গেছেন ৪ শতাংশ লোক।
বাংলাদেশিরা চিকিৎসা সেবার জন্য ভারতের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে সেখানকার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ছাড়াও একই ধরনের খাবার, ভাষা, সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা এবং সাংস্কৃতিক স্বাচ্ছন্দ্য অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল অ্যান্ড ওয়েলনেস ট্যুরিজম প্রমোশন বোর্ডের সদস্য প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠি জানান, তাদের বিদেশি রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই যান জটিল হার্ট সার্জারি এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে বিদেশি রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এটি আবার আগের অবস্থায় ফিরতে কয়েক মাস লাগতে পারে।
ডা. দেবী শেঠির মতে, বাংলাদেশিরা চিকিৎসা সেবার জন্য ভারতের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে সেখানকার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ছাড়াও একই ধরনের খাবার, ভাষা, সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা এবং সাংস্কৃতিক স্বাচ্ছন্দ্য অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে দেশটিতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশিদের হার ছিল ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। তখন ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ মেডিকেল ট্যুরিস্ট নিয়ে এ তালিকার শীর্ষে ছিল মালদ্বীপ। এরপর ক্রমাগত বাংলাদেশিদের হার বেড়েছে এবং কমেছে মালদ্বীপের।
করোনার ধাক্কা সামলে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজ্যম আগের অবস্থায় ফিরতে তিন থেকে ছয় মাস লাগতে পারে। ফ্লাইট চালু হওয়া, দূতাবাসগুলোতে মেডিক্যাল ভিসা ইস্যু হওয়া, এসবে সময় লাগবে। বর্তমানে শুধু জরুরি ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। মেডিক্যাল টুরিজ্যম ফের শুরু হতে ওইসব দেশের পাশাপাশি ভারতের মহামারি পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৯ সালে ভারতে মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশিদের হার দাঁড়ায় ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, বিপরীতে মালদ্বীপের হার নেমে আসে মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশে। ওই বছর আফগান মেডিকেল ট্যুরিস্টদের হার ছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৩ শতাংশে। ২০১৯ সালে তা কমে ৪ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছায়। এরপর ২০২০ সালে আফগান মেডিকেল ট্যুরিস্টদের সংখ্যা আবারও বেড়েছে।
ভারতীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ফোরটিস হেলথকেয়ারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডা. মনীষ মাত্তো বলেন, দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের বেশিরভাগ মেডিকেল ট্যুরিস্ট আসেন বাংলাদেশ এবং পশ্চিম এশিয়া থেকে। চেন্নাই পায় মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং মরিশাস থেকে। ব্যাঙ্গালুরুর অধিকাংশ মেডিকেল ট্যুরিস্ট বাংলাদেশ, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকান দেশগুলো থেকে আসে।
ডা. দেবী শেঠির মতে, করোনার ধাক্কা সামলে ভারতের মেডিকেল ট্যুরিজম আগের অবস্থায় ফিরতে তিন থেকে ছয় মাস লাগতে পারে। তিনি বলেন, ফ্লাইট চালু হওয়া, দূতাবাসগুলোতে মেডিকেল ভিসা ইস্যু হওয়া- এসবে সময় লাগবে। বর্তমানে শুধু জরুরি ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। মেডিকেল ট্যুরিজম ফের শুরু হতে ওইসব দেশের পাশাপাশি ভারতের মহামারি পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ।






সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি