শিরোনাম: |
জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ করলো আ.লীগ নেতা
|
জেলা প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীতে প্রান্তিক জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলতাফ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ মে) দুপুরের দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মুকিত হাসান খানের নেতৃত্বে কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পটুয়াখালীর বসাক বজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা হয়। এদিকে প্রান্তিক জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাতের ঘটনায় ছোটবিঘাই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে। সদর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে জেলা আ.লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, যেহেতু আলতাফ হাওলাদারের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এবং প্রাথমিকভাবে প্রমাণও হয়েছে তাই তাকে দলে রাখার কোনো সুযোগ নেই। তার এই অপকর্মের দায়ভার দল নিবে না। তাই তাকে (আলতাফ হাওলাদার) দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেয়া হয়। জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ৪৫০ জন প্রান্তিক জেলের জন্য ৩৬ টন চাল বরাদ্দ হয়। বরাদ্দকৃত চাল বুধবার বিকেলে পটুয়াখালীর খাদ্য গুদাম থেকে ছাড়পত্র করে ট্রলারযোগে ছোটবিঘাইর ভুতুমিয়া লঞ্চঘাটে পৌঁছায়। পথিমধ্যে ৩৫ বস্তা চাল সরিয়ে বাকি চাল নিয়ে লঞ্চঘাটে ট্রলার নোঙ্গর করে রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লঞ্চঘাট এলাকায় বিক্ষোভ হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতির নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল সেখানে যান এবং চালের বস্তার সঙ্গে স্টক মিলিয়ে ১৩ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়। পরে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বাদি হয়ে ওই চেয়ারম্যানকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আলতাফ হাওলাদার গ্রেপ্তারের আগে বলেছিলেন, প্রথম দিন ট্রলারে জায়গা না থাকায় অতিরিক্ত ৩৫ বস্তা গোডাউনে রেখে দেয়া হয়েছিল। পরের দিন তা গোডাউন থেকে নিয়ে আসছিল। তদন্তে ১৩ বস্তা চাল কম হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আলতাফ হাওলাদার। জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, জেলে ও গরীব অসহায় মানুষদের চাল নিয়ে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিলে তাকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। |