শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
মিয়ানমারে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ৭
Published : Thursday, 8 April, 2021 at 9:01 PM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের দুটি শহরে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৭ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
বুধবার দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াংগনে একটি চীনা কারখানায় অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটেছে; বিক্ষোভকারীরা এদিন চীনের পতাকাও পুড়িয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং বুধবার বলেছেন, আইন অমান্য আন্দোলন মিয়ানমারকে ‘ধ্বংস করে দিচ্ছে’।
গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে টালমাটাল মিয়ানমার বুধবার পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীর মৃত্যু দেখেছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স।
১ ফেব্রুয়ারির ওই অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন উপেক্ষা করেই দেশটির বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার বিক্ষোভ ও ধর্মঘট হয়েছে।
বুধবার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কালেতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায় বলে সেখানকার এক বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কালেতে একাধিকবার গুলিবর্ষণ ও হতাহতের খবর দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম মিজ্জিমা ও ইরাবদী উত্তরপশ্চিমের এ শহরে গুলিতে অন্তত ৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে তারা কালেতে বিক্ষোভে গুলি ও হতাহতের সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে পারেনি।
বুধবার ইয়াংগনের কাছে বাগো শহরেও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার নাও।
বাণিজ্যিক এ রাজধানীতে চীনা একটি পোশাক কারখানায় আগুন লাগার খবর দিয়েছে মিয়ানমারের দমকল বিভাগ। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ইয়াংগনের আরেক এলাকায় বিক্ষোভকারীদের চীনের পতাকায় আগুন দেওয়ার ছবি ফেইসবুকেও এসেছে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির অনেকেই ক্ষমতাসীন জান্তাকে চীনের সমর্থনপুষ্ট মনে করে; গত মাসে ইয়াংগনে চীনের বিনিয়োগ করা ৩২টি কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
বুধবার এক বিবৃতিতে সামরিক জান্তার প্রধান জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন, আইন অমান্য আন্দোলনের কারণে হাসপাতাল, স্কুল, সড়ক, বিভিন্ন দপ্তর ও কারখানা স্থবির হয়ে আছে।
“প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নানা ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে, কিন্তু সেখানে (বিক্ষোভকারীরা) ব্যবসার ক্ষতি করছে না। আইন অমান্য আন্দোলন হচ্ছে দেশ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত কর্মকাণ্ড,” বলেছেন তিনি।





সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি