শিরোনাম: |
ময়নাতদন্তে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে মৌমিতার শরীরে: চিকিৎসক
|
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকায় মালয়েশিয়ায় পড়ুয়া ছাত্রী তাজমিয়া মোস্তফা মৌমিতার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। ময়নাতদন্তের মৌমিতার শরীরে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে সাংবাদিকদের জানান চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ। ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, তার (মৌমিতা) শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিংবা তাকে হত্যা করা হয়েছে কি-না, তা জানার জন্য তার শরীর থেকে ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়া গেলে তাকে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কলাবাগানে মৌমিতার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ধানমণ্ডির গ্রিন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৌমিতা মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। মৌমিতার বাবা কামাল মোস্তফা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের ১৮ জুলাই আমার মেয়ে ঢাকায় আসে। আমরা ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের কলাবাগান থানার লেকসার্কাস ৮ নম্বর বাড়ির সাত তলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকি। ওই বাড়ির মালিকের ছেলে ফাইজা সব সময়ে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। আমাদের ধারনা ফাইজা ও তার বন্ধু আদনান মিলে আমার মেয়েকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আদনানকে পুলিশ আটক করলেও ফাইজাকে পুলিশ আটক করেনি। ফাইজার বাবা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার হিসেবে কাজ করেও বলে জানান কামাল মোস্তফা। নিহত মৌমিতা তিন বোনের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার ঘাটানাদি গ্রামে। কলাবাগান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় আমরা আদনান নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি। তবে ভিকটিমের পরিবার এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি। |