শিরোনাম: |
নাঙ্গলকোটে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ২ মহিলাসহ আহত ৪
|
![]() কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেরিয়া ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান কাজী জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ (৭০) ও তার ছেলে মো: মহিন (৪৫), মো: মাহফুজ (৩৫), মো : শাহাদাত (২৫) এর বিরুদ্ধে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ২ মহিলা ও ২ শিশুসহ ৪ জনকে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (১৯-০২-২০২১ ইং) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন পেরিয়া ইউনিয়ন কাজী জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মৃত মাওলানা আমির হোসেনের স্ত্রী রফিজা বেগম (৪৬) তাহার মেয়ে মারজান বেগম (২৫), মারজান বেগমের মেয়ে মাইশা আক্তার (১০), মারজান বেগমের শিশু সন্তান আমির হামজা (১১ মাস)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ ও তার ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে মৃত মাওলানা আমির হোসেনের পরিবারের উপর নানা ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছে। তার জের ধরে গত শুক্রবার ১৯ ফেব্রুয়ারী তারিখ সকাল ৯ টায় মৃত মাওলানা আমির হোসেনের মেয়ে মারজান যখন তার প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলতে থাকে তখন হঠাৎ হামিদ চেয়ারম্যানের ছেলে মহিন তাকে কিল ঘুষি মেরে তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। জানা যায় ওই মোবাইলে চেয়ারম্যান ও তার ছেলেদের পূর্বে করা গালমন্দ ও খারাপ আচরণের কিছু ভিডিও ধারণ করা ছিল এসময় তার কোলে থাকা শিশু সন্তান আমির হামজাকেও সে মাটিতে ছুড়ে ফেলে। তার শোর চিৎকারে তার মা রফিজা বেগম তাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মহিন এবং তার ভাই মাহফুজ এসে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর মারজান বেগমের মেয়ে মাইশা (১০) আসলে তাকেও মারধর করে। এসময় হামিদ চেয়ারম্যান পাশে দাঁড়ানো ছিল। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হামিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার আংশিক স্বীকার করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায়। |