শিরোনাম: |
বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নির্দিষ্ট সময়েই হবে
|
ক্রীড়া ডেস্ক ॥
আগামী সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সাফের সর্বশেষ সভায় টুর্নামেন্টের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর। তবে একই মাসে তুরস্কের কনিয়া শহরে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বিওএ ফুটবল দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা উঠেছিল। সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরের পরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) পরবর্তী আসর অক্টোবরে শুরু করবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। তাদের এই লিগ চলবে ৮ মাস। তাই সেপ্টেম্বরেই আমাদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ করতে হবে।’ ১০ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর ইসলামিক সলিডারিটি গেমস হলেও তাতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে আনোয়ারুল হক হেলাল বলেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে অংশ নেয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। মনে করি না যে, এই গেমস সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কোনো সমস্যা করবে। আমি কালই (বৃহস্পতিবার) এ নিয়ে বাফুফের সঙ্গে কথা বলব।’ বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবে জাতীয় দল। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে আমরা দ্বিতীয় দল (অনূর্ধ্ব-২৩) পাঠিয়ে দেব। এই গেমস ফুটবলে আমরা দল পাঠালেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। সাফ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে দুই একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব।’ ‘দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ’খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা ছিল গত সেপ্টেম্বরে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছিল। এক বছর পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই টুর্নামেন্টের স্বত্ত্ব কিনেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। যে কারণে এ টুর্নামেন্টের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।’ বাংলাদেশে এর আগে তিনবার চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল প্রথমবার আয়োজন করেই। ২০০৯ সালে আয়োজক হয়ে বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছিল সেমিফাইনাল থেকে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আয়োজক বাংলাদেশ বিদায় নেয় গ্রুপপর্ব থেকে। |