শিরোনাম: |
নির্বাচনী ফায়দার জন্যই বালাকোটে হামলা চালিয়েছিল মোদি সরকার
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
নির্বাচনী ফায়দার জন্যই ভারতের বিজেপি সরকার বালাকোটে বিমান চালিয়েছিল বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রতিবেশী দেশটির এধরনের ‘বেপরোয়া সামরিক এজেন্ডা’ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার একাধিক টুইটে ইমরান খান দাবি করেছেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের ‘বর্ণবাদী’ সরকার নির্বাচনী ফায়দায় বালাকোট হামলাকে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করেছে। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোট সীমান্ত পার হয়ে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায় ভারত। এর সপ্তাহ দুয়েক আগে পুলওয়ামায় কাশ্মীরি বিদ্রোহীদের হামলায় ৪০ ভারতীয় সেনা নিহত হন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ হামলায় সহযোগিতা করার অভিযোগ তুলে প্রতিশোধ হিসেবে বালাকোটে হামলা চালায় ভারত। যদিও, ইসলামাবাদ বরাবরই ভারতের এধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সোমবারের টুইটে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ভারতের ডানপন্থী ইন্ডিয়ান টিভির উপস্থাপক অর্ণব গোস্বামী এবং রেটিংস বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের (বার্ক) প্রধান পার্থ দাশগুপ্তের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ আলাপের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। ভারতে টেলিভিশন রেটিংস দুর্নীতির বিষয়ে চলমান তদন্তে প্রমাণ হিসেবে কয়েকশ’ পাতার ওই আলাপের নথিপত্র জমা দিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ। আলাপে স্পষ্ট বোঝা যায়, বালাকোটে হামলার আগেই এ বিষয়ে জানতেন অর্ণব গোস্বামী ও পার্থ দাশগুপ্ত। ‘নোংরা যোগসূত্র’: ভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত ওই হোয়াটসঅ্যাপ আলাপে দেখা যায়, বালাকোটে হামলার তিনদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন ভারতের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি। মেসেজে দেখা যায় পার্থ দাশগুপ্ত বলছেন, ‘বড় কিছু হতে চলেছে। ভালো। এই মৌসুমে এটা বড় মানুষটির পক্ষে ভালো। তিনি জরিপে এগিয়ে যাবেন।’ এরপরই বার্ক প্রধান সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, ‘স্ট্রাইক? নাকি আরও বড়?’ জবাবে অর্ণব গোস্বামী বলেন, ‘সাধারণ স্ট্রাইকের চেয়ে বড়। আর একইসঙ্গে কাশ্মীরেও বড় কিছু।’ তিনি বলেন, ‘সরকার পাকিস্তানে এমনভাবে আঘাত করতে আত্মবিশ্বাসী যে, জনগণ তাতে গর্ববোধ করবে। ঠিক শব্দটাই ব্যবহৃত হয়েছে।’ পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী এই আলাপকে ভারতের সরকার ও গণমাধ্যমের মধ্যে ‘নোংরা যোগসূত্রের উন্মোচন’ বলে মন্তব্য করেছেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় বিজেপির বড় হাতিয়ার ছিল বালাকোটের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। সেই বছর ২০১৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে আরও বড় ব্যবধানে জয় পায় নরেন্দ্র মোদির দলটি। তবে বিজেপির মুখপাত্র সৈয়দ জাফর পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বরং পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের কারখানা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিজেপি নেতা বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জিততে বালাকোটে বিমান হামলাকে কখনোই ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করেনি তাদের দল। সূত্র: আল জাজিরা |