বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, 2০২4
শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে অবিশ্বাস্য ম্যাচ জিতল চেন্নাই
Published : Friday, 30 October, 2020 at 6:30 PM

ক্রীড়া ডেস্ক ॥
জিততে হলে ছয় বলে করতে হতো ১০ রান, কামলেশ নাগরকোটির প্রথম চার বল থেকে মাত্র তিন রান করতে পেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ফলে ম্যাচ ঝুঁকে যায় বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামা কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে। কিন্তু শেষ দুই বলে অবিশ্বাস্য কীর্তি দেখান আগের ওভারে ঝড় তোলা রবীন্দ্র জাদেজা। নাগরকোটির করা পঞ্চম বলটি ছিল লেন্থ ডেলিভারি, সুযোগ হাতছাড়া করেননি জাদেজা, সজোরে হাঁকান ডিপ মিড উইকেটের দিকে, বল গিয়ে আছড়ে পড়ে দুবাই স্টেডিয়ামের ফাঁকা গ্যালারিতে এবং টাই হয়ে যায় ম্যাচ। শেষ বলটি আবারও ছিল লেন্থ ডেলিভারি, এবার ওয়াইড লং অন দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন জাদেজা।

শুধু চেন্নাইয়ের জয়ই এনে দেননি জাদেজা, শেষ দুই বলের ছক্কায় এবারের আইপিএলের প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে তুলে দিয়েছেন নিজেদেরই চির প্রতিদ্বন্দ্বী মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে। মূলত কলকাতা ম্যাচটি হেরে যাওয়ায় নিশ্চিত হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাইয়ের সেরা চারের টিকিট।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করেছিল কলকাতা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারের এক শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৬ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই। আইপিএলে শেষ বল ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতার দশম ঘটনা এটি। যার চারটিই হয়েছে কলকাতার বিপক্ষে।

১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে নেতিবাচক শুরু করেন ওয়াটসন, নষ্ট করতে থাকেন মূল্যবার বল। ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলীয় ৫০ রানে আউট হওয়ার আগে ১৯ বল ১৪ রান করেন এ অসি তারকা। তবে অন্যপ্রান্তে দুর্দান্ত খেলছিলেন তরুণ ওপেনার রুতুরাজ গাইকোয়ার।
এর মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটে তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান আম্বাতি রাইডুকে। দুজন মিলে মাত্র ৩৭ বলে করেন ৬৮ রান। ম্যাচের সমীকরণও চলে আসে চেন্নাইয়ের হাতে। তবে তখনই আবার পাল্টা আঘাত কলকাতার। পরপর দুই ওভারে সাজঘরে ফেরেন ২০ বলে ৩৮ রান করা রাইডু ও ৪ বলে ১ রান করা অধিনায়ক ধোনি।

রুতুরাজও পারেননি দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে। ইনিংসের ১৮তম ওভারে আউট হন রুতুরাজ। তিন ওভারে জয়ের জন্য ৩৪ রান করতে হতো চেন্নাইকে। সেই ওভারে মাত্র ৪ রানের বিনিময়ের রুতুরাজের উইকেট নেন প্যাট কামিনস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা রুতুরাজ খেলেছেন ৫৩ বলে ৭২ রানের ইনিংস। তবে তিনি কাজটা শেষ করতে পারেননি, যা করেছেন জাদেজা। রীতিমতো অবিশ্বাস্য কীর্তিই দেখিয়েছেন জাদেজা। দুই ওভারে বাকি ছিল ৩০ রান, উনিশতম ওভারে আনা হয় দ্রুতগতির পেসার লকি ফার্গুসনকে। কিন্তু তিনি পুরো তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। আসরে আগের ম্যাচগুলোতে নিজের বোলিংয়ের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি তিনি।

সেই ওভারে একটি করে ওয়াইড-নোবলসহ মোট ৮টি বল করেন ফার্গুসন। সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন জাদেজা। আট বলের ওভারটিতে ২ চার ও ১ ছয়ের মারে তুলে নেন ২০ রান। যা আবার ম্যাচে ফেরায় চেন্নাইকে। জয়ের জন্য বাকি থাকে আর মাত্র ১০ রান, হাতে ছিল ছয়টি বল।
শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন কামলেশ নাগরকোটি। প্রথম চার বল দুর্দান্ত করলেও শেষ দুই বলে ছক্কা হজম করেন তিনি, যা নিশ্চিত করে দেয় চেন্নাইয়ের জয়। মাত্র ১১ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ের মাত্র ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জাদেজা। অবশ্য এ জয়েও কোনো লাভ হয়নি তাদের। কেননা আগেই বাদ পড়ে গেছে চেন্নাই।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা কলকাতা ১৭২ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় মূলত নিতিশ রানার কল্যাণে। বাঁহাতি এই ওপেনার ৬১ বলে খেলেন ৮৭ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ বলে ২৬ রান করেন শুবমান গিল। আর শেষদিকে ১০ বলে ২১ রানের ঝড় তুলেন। যদিও শেষপর্যন্ত এসব গেছে বিফলে।


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি