শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত হচ্ছে নতুন ৪৩ পণ্য
Published : Monday, 26 October, 2020 at 8:28 PM

স্টাফ রিপোর্টার:
ভোক্তাসাধারণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে লো ফ্যাট মিল্ক, ফ্লেভারড মিল্ক, আইস ললি, ন্যাচারাল মেহেদি, ডিসওয়াশিং লিকুইড, লিকুইড টয়লেট ক্লিনার, নেইল পলিস, স্বর্ণ, পাওয়ার লুমে তৈরি কটন শাড়ি, প্যাসেঞ্জার কার টায়ার ও রিম, হলো ক্লে ব্রিক্স ও ব্লকস, পাওয়ার ট্রান্সফরমারসহ নতুন ৪৩টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসটিআই।
রোববার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ৩৪তম কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এতে সভাপতিত্ব করেন। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় কাউন্সিলের প্রথম সহ-সভাপতি ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি ও শিল্পসচিব কে এম আলী আজম, সদস্য সচিব ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদফতর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, অর্থ বিভাগ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় গুণগত শিল্পায়নের চলমান ধারা জোরদারে জেলাপর্যায়ে বিএসটিআইয়ের মান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ, আধুনিক যন্ত্রপাতিসম্বলিত ল্যাবরেটরির সুবিধার প্রসার, প্রাতিষ্ঠানিক জনবল বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ সুবিধা জোরদার, কর্তকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন, যাতায়াত ও প্রণোদনার সুযোগ বাড়ানো এবং হালাল খাদ্যের রফতানি বাড়াতে বিএসটিআইয়ের মান নির্ধারণী কার্যক্রম সম্প্রসারণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় জেলাপর্যায়ে বিএসটিআইয়ের অফিস সম্প্রসারণ ও সেবাদান কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে বিদ্যমান আটটি বিভাগীয় অফিসের পাশাপাশি আরও ১৩টি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের মাধ্যমে মোট ৬৪টি জেলায় কার্যক্রম সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের বাইরে অবস্থিত ৪৩টি জেলায় মোবাইল কোর্ট, ফ্যাক্টরি পরিদর্শন ও সার্ভিল্যান্স পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে নিজস্ব অফিস স্থাপন এবং সীমিত জনবল দিয়ে তা পরিচালনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
সভায় শিল্পমন্ত্রী বিশ্ববাজারের হালাল পণ্য রফতানির বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিএসটিআইকে দ্রুত হালাল পণ্যের মান নির্ধারণ ও মান সনদ প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগ্যতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য উৎসাহিত করতে উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনাসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে জানান।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদারে বিএসটিআইয়ের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় দেশীয় শিল্পপণ্য টিকে থাকার সক্ষমতা জোরদারে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মান নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে।
এ প্রতিষ্ঠানের গুণগতমানের সাথে জনগণের জীবনের সুরক্ষা জড়িত। এ বিবেচনায় তিনি মান নির্ধারণ ও পরীক্ষণের ক্ষেত্রে বিএসটিআই কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বাজারজাত করে ব্যবসায়ী নামধারী কিছু সুবিধাবাদী মানুষ টাকার পাহাড় গড়ার হীনকৌশল অবলম্বন করছে। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে তাতে নতুন লেবেল লাগিয়ে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে ভোক্তাসাধারণকে প্রতারিত করছে।
এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ নজরদারি, জরিমানা আদায় এবং অতিরিক্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত বিদেশ প্রশিক্ষণ টিমে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করারও পরামর্শ দেন।
শিল্পসচিব বলেন, বাংলাদেশে শিল্পায়নে চলমান ধারার সাথে তাল মিলিয়ে বিএসটিআইয়ের মাননির্ধারণী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় অভ্যন্তরীণ বাজার হারানোর পাশাপাশি রফতানি বাণিজ্যেও বাংলাদেশি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়াতে মানসম্মত প্রশিক্ষণ কারিকুলাম প্রণয়ন এবং দক্ষ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।
করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ উন্নয়নের এক বিস্ময় উল্লেখ করে শিল্পসচিব বলেন, উন্নয়নের এ গতি অব্যাহত রাখতে বিএসটিআইয়ের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকান্ড জেলাপর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে।








সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি