শিরোনাম: |
জিনজিয়াংয়ে ৩৮০টি বন্দিশিবির চালাচ্ছে চীন, দাবি গবেষকদের
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জিনজিয়াংয়ে চীনের বন্দিশিবির নেটওয়ার্ক পূর্বানুমানের চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত। অঞ্চলটিতে অন্তত ৩৮০টি বন্দিশিবির তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে একটি অস্ট্রেলীয় থিংক ট্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া তথ্যমতে, এসব জায়গায় কয়েক বছর ধরে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) জানিয়েছে, তারা জিনজিয়াংয়ে ৩৮০টি বন্দিশিবিরের সন্ধান পেয়েছে, যা আগের চেয়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বেশি। চীন দাবি করেছে, এগুলো মূলত ভাষাগত দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র। উগ্রবাদের হুমকি মোকাবিলার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলা হচ্ছে এসব কেন্দ্রকে। এএসপিআইয়ের প্রধান গবেষক নাথান রুসার বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে জিনজিয়াংয়ের সব ‘প্রশিক্ষণার্থী’ গ্রাজুয়েট হয়ে গেছেন বলে চীনা কর্মকর্তাদের দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এই আবিষ্কার। তথ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, সেখানে এখনও অনেক বিচারবহির্ভূত বন্দিকে কড়া নিরাপত্তায় আটকে রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলীয় গবেষকরা স্যাটেলাইটের ছবি, প্রত্যক্ষদর্শী, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং সরকারি কনস্ট্রাকশন টেন্ডারের নথিপত্রের ভিত্তিতে এসব বন্দিশিবির চিহ্নিত করেছেন। সেখানে অন্তত ৬১টি নতুন স্থাপনা পাওয়া গেছে। আরও ১৪টি স্থাপনার নির্মাণকাজ চলছে। এছাড়া, ৭০টি স্থাপনার নিরাপত্তা দেয়াল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া অথবা ব্যবহারের পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে। রুসার জানান, উচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট অনেক বন্দিশিবিরের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, শিল্প স্থাপনার পাশেও কিছু শিবির তৈরি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে বন্দিদের দিয়ে জোরপূর্বক কাজ করানো হয়। বেইজিং সম্প্রতি জিনজিয়াংয়ে চীনা নীতির পক্ষে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, স্থানীয়দের (উইঘুর) জীবনমান উন্নয়নে শুধু প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্যই কেন্দ্রগুলো তৈরি হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা |