শিরোনাম: |
মা-বাবা বেশি ভালোবাসায় ছোট বোনকে হত্যা করে সজিব
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
ছোট বোনকে মা-বাবা বেশি ভালোবাসায় বড় ভাইয়ের হাতে খুন হন চার বছর বয়সী শিশু মিম। রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে গোসলখানায় শিশু মিম হত্যার কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় র্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। নিহত মিমের বাবা লিটন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আর মা রুপসানা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন।
র্যাব জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাজধানীর বনানী থানার জামাইবাজার এলাকার কড়াইল বস্তির বাসিন্দা লিটন মিয়ার চার বছরের শিশু মিমকে গলাটিপে হত্যার তথ্য পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন করতে ছায়া তদন্তে নামে র্যাব। কিন্তু তদন্তে নেমে র্যাব দেখতে পায় ভয়াবহ নির্মম এক হত্যার দৃশ্য। বাবা-মায়ের অবহেলা আর ছোট বোনের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসাই বড় ভাই আল-আমিন ওরফে সজিবকে ঘাটক বানিয়েছে। তদন্তে অল্প সময়ের মধ্যে শিশু মিম হত্যার কারণ এবং ঘাতককে শনাক্ত করে র্যাব। পরে সজিবকে কড়াইল বস্তি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের এই এলিট ফোর্সটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সজিব র্যাবকে জানায়, সে স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ছোট বোন মিম জন্মের পর থেকে তার প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা কমতে থাকে। যত দিন যায় বাবা-মা তার প্রতি উদাসীন হয় এবং সব ভালোবাসা মিমের দিকে চলে যায়। যার কারণে ছোট বোনের প্রতি ক্ষোভ জন্মাতে থাকে সজিবের। সবকিছুর জন্য তাকে দায়ী করে সে। সজিব আরও জানায়, বাবা-মা দুজনই মিমের সব আবদার পূরণ করলেও তার ক্ষেত্রে এমন করে না। তাই ছোট বোন মিমকে বাবা-মায়ের চোখের আড়াল করার জন্য বিভিন্ন ফন্দি আটতে থাকে যাতে করে সে আগের মত আদর-ভালোবাসা পেতে পারে। এর জন্য সে সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকে। গতকাল বুধবার সকালে সেই সুযোগটি পেয়ে যায়। এরপরেই নিজের আপন বোনকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলাটিপে হত্যা করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে সজিব। বাসায় ফিরে মেয়েকে না পেয়ে বাবা-মা অনেক খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। সেই সুযোগে মিমের লাশ পাশের গোসলখানায় রেখে আসে সজিব। |