বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, 2০২4
বঙ্গবন্ধু হত্যা : সম্ভাব্য কমিশন ও কিছু আগাম প্রস্তাব
আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী
Published : Saturday, 5 September, 2020 at 8:55 PM

শোকের মাস আগস্ট শেষ হয়েছে। যেহেতু ২০২০ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাল এবং বছরটি মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষিত, তাই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আগস্ট মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও জাতির পিতাকে নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি নিউইয়র্ক থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত যে আলোচনায় যোগ দিয়েছি, তাতে যোগ দিয়েছিলেন নিউইয়র্ক থেকে ড. নূরন্নবী, ঢাকা থেকে তোফায়েল আহমেদ এবং ড. রফিকুল ইসলাম। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে হল্যান্ডের আমস্টারডাম এবং ভারতের দিল্লি থেকে প্রচারিত হবে দুটি আলোচনা। তাতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ রয়েছে।

এবারের কোনো কোনো আলোচনা সভা থেকে কথা উঠেছে, বঙ্গবন্ধুর অধিকাংশ ঘাতকের বিচার ও শাস্তি হয়েছে, কিন্তু এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে যে বিরাট চক্র ছিল, বিশাল ষড়যন্ত্র ছিল, তার মূল হোতাদের শাস্তি হয়নি, তাদের স্বরূপও উদ্‌ঘাটন করা হয়নি। এত দীর্ঘকাল পর তাদের অনেককে বিচারের আওতায় আনা না গেলেও তাদের চেহারা জনগণের কাছে তুলে ধরা দরকার। স্বদেশে যারা এই ষড়যন্ত্রে নেপথ্যে বসে কলকাঠি নেড়েছে এবং এখনও বেঁচে আছে, ধরা পড়েনি, তাদের ধরার জন্য একটি কমিশন গঠন প্রয়োজন। এই কমিশন গঠনের দাবিটি এখন ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছে। এই কমিশন গঠনের ব্যাপারে আমি আমার বিভিন্ন কলামে দৃঢ় সমর্থন জ্ঞাপন করেছি। কারণ, বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারসহ যারা হত্যা করেছিল, তারা ভাড়াটে ঘাতক মাত্র। তাদের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু তাদের পেছনে যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র আসল চক্রান্তের হোতা তাদের মুখোশ এখন পর্যন্ত উন্মোচিত হয়নি। দেশের চক্রান্তকারীদের মূল হোতা জেনারেল জিয়াউর রহমান মারা গেছেন এই অজুহাতে তার মরণোত্তর বিচার হয়নি। এখনও তার ছবি বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানানো রয়েছে।

আরেক চক্রান্তের নায়ক খন্দকার মোশতাক, যিনি ঘাতক ডালিম-ফারুকদের দ্বারা মনোনীত হয়ে দেশের অবৈধ প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন এবং ৯০ দিন তাদের ক্রীড়নক হয়ে বঙ্গভবনে বাস করেছেন। তার ছবিও বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে রাষ্ট্রপতিদের ছবির সারিতে রয়েছে। এ যেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার ছবির পাশে বিশ্বাসঘাতক মিরজাফরের ছবি স্থাপন করে তাকেও জাতীয় বীরের সম্মান দেখানো। কারণ, মিরজাফরও ইংরেজ ক্লাইভের দ্বারা মনোনীত হয়ে পরবর্তীকালের মোশতাকের মতো বাংলার নবাব হয়েছিলেন। তার পরে মোশতাকের মতোই নবাবের পদ থেকে অপসারিত হন।

অতীতের বাঙালির দেশপ্রেম সম্ভবত বর্তমানের বাঙালির চেয়ে একটু প্রগাঢ় ছিল। তাই সে যুগে মুর্শিদাবাদের প্রাসাদে (যা এখন জাদুঘর) সিরাজউদ্দৌলার ছবির পাশে মিরজাফরের কোনো ছবি স্থাপন করা হয়নি। তাকে বিশ্বাসঘাতক ও 'ক্লাইভের গাধা' আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তার কবরস্থানটির নামও 'নিমকহারামের দেউড়ি'। সে যুগের বাঙালিরা যে স্বদেশ চেতনার পরিচয় দিয়েছে, আমরা এই উন্নত সভ্যতার যুগে সেই পরিচয় দেখাতে পারিনি। আমরা এ যুগের বাঙালিদের একটি অংশ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ফৌজি নেতাকে শহীদ আখ্যা দিয়েছি এবং তাকে জাতির পিতার পাশাপাশি জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে চেয়েছি। যদিও তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডটি সম্ভবত বিশ্ব ইতিহাসের একটি নৃশংস ও জঘন্য হত্যাকাণ্ড। দেড় হাজার বছর আগের কারবালা হত্যাকাণ্ড এবং দেড় হাজার বছর পরের আলেন্দে হত্যাকাণ্ডেও এত নৃশংসতা দেখা যায় না। কারবালার মাঠে ইমাম হোসেন পথ ভুলে পরিবারসহ এসে পৌঁছান। এজিদ ফাঁদ পেতে তাকে অবরুদ্ধ করে এবং নৃশংসভাবে ইমাম হোসেন এবং তার পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করে। কিন্তু ইমাম হোসেনের স্ত্রী সখিনা এবং পুত্র জয়নাল আবেদিনকে হত্যা করেনি। এটা গেল প্রাচীনকালের কথা। বর্তমানকালে চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দেকে সিআইএর মদদে প্রধান সেনাপতি পিনোচেট সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে খুন করে। কিন্তু তার স্ত্রী মাদাম আলেন্দে ও একমাত্র কন্যাকে বেঁচে থাকতে দেয়। ১৯৭৪ সালে মাদাম আলেন্দে ও মিস আলেন্দে বিশ্ব সফরে বেরিয়ে কলকাতাতেও এসেছিলেন। আমিও স্ত্রীর চিকিৎসা উপলক্ষে কলকাতায় ছিলাম। কলকাতা প্রেসক্লাবে তাদের সংবর্ধনা জানানো হয়। আমি সেই সংবর্ধনায় হাজির ছিলাম। আলেন্দে-পত্নী এবং তার কন্যার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করি।

আমার বলার কথা, নরপশু পিনোচেট প্রেসিডেন্ট আলেন্দেকে হত্যা করেছিল। রেহাই দিয়েছিল তার স্ত্রী, কন্যাকে। কিন্তু বাংলাদেশের নরপশুরা বঙ্গবন্ধুকে তো হত্যা করেছেই, তার স্ত্রী-পুত্র, ভাগিনা, নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাগিনা-বউ, ভগ্নিপতি, মাত্র এক মাসের বিবাহিতা দুই পুত্রবধূ, এমনকি ১০ বছরের শিশুপুত্রকেও রেহাই দেয়নি। তারপর তিন মাস না যেতেই জেলে ঢুকে নিরস্ত্র, নিঃসহায় জাতীয় চার নেতাকে খুন করেছে। এখানেই শেষ নয়। এমন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের দিন ১৫ আগস্টকে জেনারেল জিয়ার স্ত্রী মাদাম খালেদা জিয়ার বানোয়াট জন্মদিন ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের নরপশুদের এই নির্মম পৈশাচিকতার দ্বিতীয় উদাহরণ পৃথিবীতে আছে কিনা সন্দেহ। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডটি নিছক হত্যাকাণ্ড ছিল না। এটা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের পরিণতি। এই হত্যাকাণ্ড শুধু বাংলাদেশেই মানবতাদ্রোহী হিংস্র ধর্মান্ধ শক্তির অভ্যুত্থান ঘটায়নি, সারা উপমহাদেশের রাজনীতিতেই সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধ হিংস রাজনীতির উত্থান ঘটাতে সাহায্য করেছে। এই গণতন্ত্রবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। এই ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভাঙার জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার কয়েকজন ভাড়াটে ঘাতককে বিচার ও শাস্তি দিলেই চলবে না। সুষ্ঠু তদন্ত দ্বারা এই ষড়যন্ত্রের দেশি-বিদেশি মূল নায়কদের চেহারা এবং হত্যা-ষড়যন্ত্রের মূল কারণ বিশ্ববাসীর চোখের সামনে তুলে ধরতে হবে। চক্রান্তের মূল হোতাদের বিশ্ববাসীর চোখের সামনে তুলে ধরা গেলে তারা শাস্তি না পাক, সারা বিশ্বে তাদের স্বরূপ উদ্‌ঘাটিত হবে। তাদের বিষদাঁত ভেঙে যাবে।

ধরুন, হেনরি কিসিঞ্জার ও ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টার এবং ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের কয়েকজন কর্মকর্তা, তাদের হয়তো এমন বিচার করে শাস্তি দেওয়া যাবে না। বোস্টার তো ইতোমধ্যে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার আগে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফৎসুজের কাছে এক জবানবন্দিতে বঙ্গবন্ধু হত্যায় তার এবং সিআইএর সংশ্নিষ্টতার কথা অকপটে স্বীকার করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ও আলেন্দে হত্যায় হেনরি কিসিঞ্জারের সংশ্নিষ্টতা তো এখন ওপেন সিক্রেট। বাংলাদেশের আদালতে এই ঘাতকচক্রের বিদেশি হোতাদের বিচার করে হয়তো শাস্তি দেওয়া যাবে না। কিন্তু এদের সহযোগী দেশি চক্রের যে নেপথ্য নেতারা এখনও নেপথ্যেই মুখ লুকিয়ে আছেন এবং কেউ কেউ আরও বড় আওয়ামী লীগার সেজে ভবিষ্যতের চক্রান্তে ইন্ধন জোগাচ্ছেন, একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে তাদের মুখোশ উন্মোচন এবং বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা অত্যাবশ্যক। তাদের মধ্যে যারা মারা গেছেন, তাদেরও মরণোত্তর বিচারের ব্যবস্থা করা দরকার। তাহলে দেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতির গুপ্তগুহার ঢাকনা খুলে যাবে এবং দেশকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের ষড়যন্ত্রের জাল থেকে মুক্ত করা যাবে।

শোনা যায়, এ ব্যাপারে হাসিনা সরকার একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের কথা বিবেচনা করছে। যদি এই কমিশন গঠিত হয়, তাহলে তারা তো তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে আরও বৃহত্তর বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধান করবেন। কিন্তু কয়েকটি আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়েও যেন তারা অনুসন্ধান চালান, এটা আমার আগাম অনুরোধ রইল। এই অনুরোধগুলো হলো : এক. ১৫ আগস্ট রাত্রে গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর তরুণ সহকর্মী যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গেরিলা যুদ্ধের ট্রেনিং পেয়েছিলেন, যুদ্ধের পরও যাদের হাতে কিছু অস্ত্র ছিল, তারা প্রতিরোধ যুদ্ধে রাস্তায় বেরিয়ে আসেননি কেন? দুই. হত্যাকাণ্ডের দিন কাদের ষড়যন্ত্রে ভারতের হাইকমিশনার ও সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত এবং বঙ্গবন্ধুর অতিবিশ্বস্ত বিডিআরপ্রধান একই সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন?

তিন. হত্যাকাণ্ডের রাতে ৩২ নম্বরের গার্ড বদলের অর্ডার দিয়েছেন কে এবং শেষ রাতে ৩২ নম্বরের বাড়ি আক্রান্ত হলে এই নাইটগার্ডের দল আক্রমণ প্রতিহত করে প্রেসিডেন্টের জীবন রক্ষা করেনি কেন? অথচ আলেন্দের নাইটগার্ড দল ২৪ ঘণ্টা যুদ্ধ করে হানাদারদের হামলা ঠেকিয়ে রেখেছিল। চার. কে সেই অফিসার যিনি নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রধান সচিব হিসেবে গণভবনে এসেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রেসিডেন্ট পদে বসেই মোশতাক তাকে আমেরিকায় চাকরি দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন? পাঁচ. বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাকশালের অন্তর্ভুক্ত দল বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিবি কেন বাকশালের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে বাকশালে থাকা অবস্থাতেই একক সিদ্ধান্তে জিয়াউর রহমানকে সমর্থন দান করে এবং জিয়ার খালকাটা পরিকল্পনায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে সাহায্যদানের ঘোষণা দেয়? ছয়. বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা কমিশনের তিনজন উচ্চ পদাধিকারী কেন ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির পরই অক্সফোর্ডে চলে যান। সে কি প্রাণভয়ে, না অন্য কোনো কারণে?

সাত. বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অক্সফোর্ডে অবস্থান করছিলেন। তিনি এই নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং '৭১-এর পরাজিত শক্তির সহিংস পন্থায় ক্ষমতা দখলের নিন্দা জানিয়ে কেন জাতিসংঘে, কমনওয়েলথে এবং বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ না জানিয়ে নিষ্ফ্ক্রিয় ও নীরব রইলেন? অথচ আলেন্দে হত্যার পর আমেরিকায় নিযুক্ত চিলির রাষ্ট্রদূত পাবলো নেরুদা জাতিসংঘ ও আমেরিকায় তার প্রতিবাদ জানিয়ে চিলিতে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। এমনকি রোমানিয়ার চসেস্কু হত্যার পর তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন জাতিসংঘে এবং বিভিন্ন দেশে। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দারুণ বন্ধুত্ব ছিল (এখনও আছে) মার্কিন সিনেটর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। অথচ তিনি রইলেন সম্পূর্ণ নিষ্ফ্ক্রিয় ও নীরব। কিন্তু কেন? রহস্যটা কী?

আট. এবং শেষ সুপারিশ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোশতাককে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর জিয়াউর রহমান লন্ডনে এসেছিলেন কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রচণ্ড গণবিক্ষোভের মুখে তিনি ব্রিকলেনের জনসভা থেকে পালান (গার্ডিয়ান দ্রষ্টব্য)। কিন্তু বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মুখপত্র সাপ্তাহিক 'একতার' প্রথম পৃষ্ঠায় ব্যানার হেডলাইন দেওয়া হয় 'লন্ডনে জিয়ার বিরাট গণসংবর্ধনা'। তখন 'একতা' কেন এই হেডিং দিয়েছিল? কেঁচো খুঁড়তে যেমন সাপ বেরোয়, তেমনি বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের নায়কদের সন্ধান করতে গেলে অনেক সাপের সন্ধান পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে সর্পদংশন থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে গোপন গুহা থেকে এদের টেনে বের করে আনা প্রয়োজন।


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি