শিরোনাম: |
ফেনীতে আবারও সক্রিয় হচ্ছে কিশোর গ্যাং
|
ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী শহরে বেশ কিছুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থেকে আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। করোনাকালে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কিশোরদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলেছে। স্কুলপড়ুয়া ছাত্রদের একটা অংশ পাড়া-মহল্লায় আড্ডা দিতে শুরু করেছে। চাঁদাবাজি, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ার কারণে তাদেরকে গ্যাং হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের ৩নং ওয়ার্ডের সহদেবপুর এলাকা ও ৭নং ওয়ার্ডের শহীদ ওবায়দুল হক সড়কের বিভিন্ন এলাকা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে কিশোর গ্যাং। বিশেষ করে ৭নং ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমের বাসার চত্বর থেকে দক্ষিণ দিকে শহীদ ওবায়দুল হক সড়কের অচিনগাছ পর্যন্ত এবং সাহেববাজার থেকে দক্ষিণ দিকে খাজুরিয়া পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক গ্রুপ যেন রাজত্ব গেড়ে বসেছে। দিনভর এমনকি সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ থেকে ১০টা পর্যন্ত দলবেঁধে আড্ডা নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুযোগ পেলেই চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে। আবার কেউ কেউ মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি ও ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়া ছাড়াও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। তরুণী ও নারীদের উত্তক্ত্য করতে একটি বাইকার টিম প্রতিদিন বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করছে। এতে করে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়া এসব কিশোরের দাপটে একদিকে যেমন মানুষ অতিষ্ঠ অন্যদিকে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সচেতন মহলের মতে, ‘গ্যাং কালচার’ দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিতামাতার ভূমিকা অত্যধিক। কেননা, অভিভাবকদের তীক্ষ দৃষ্টিই বিপথগামিতা থেকে তাদের সন্তানদের রক্ষা করতে পারে। সন্তান কী করে, কার সঙ্গে মেশে, কোথায় সময় কাটায় এ সব কয়টি বিষয়ে পর্যাপ্ত মনিটরিং করতে পারলেই গ্যাংয়ের মতো বাজে কালচারে সন্তানের জড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় পূর্বপশ্চিমকে জানান, এ নিয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে কিশোর গ্যাং বিষয়ে পুলিশ সজাগ রয়েছে। অপ্রয়োজনে বাইরে আড্ডা না দিতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। |