শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
চীনের কাছ থেকে সস্তায় প্লেন কিনে বিপাকে নেপাল
Published : Wednesday, 15 July, 2020 at 6:15 PM

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
২০১১ সালে বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে দু’টি পৃথক বিশেষজ্ঞ দল চীন গিয়েছিল বিশেষ কয়েকটি মডেলের প্লেনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে। বাংলাদেশি দলটি দেশে ফিরে ওই প্লেনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী প্রতিবেদন দিলেও উল্টো পথে যায় নেপাল। চীনের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধায় মোট ছয়টি প্লেন কিনে নেয় তারা। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে শেষপর্যন্ত। ঠিকঠাক ব্যবহার করতে না পেরে সেই প্লেনগুলো চিরতরে বসিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছে নেপাল। নেপালের প্রভাবশালী গণমাধ্যম কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানিয়েছে, চীনের কাছ থেকে কেনা ১৭ সিটের ওয়াই১২ই এবং ৫৬ সিটের এমএ৬০ প্লেন আর না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল এয়ারলাইনস করপোরেশন। আগামী ১৬ জুলাই থেকে আর উড়বে না সেগুলো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত খরচ সামলাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। কারণ এই প্লেনগুলো পরিচালনা ও বীমার খরচ বাবদ অন্তত ২০০ কোটি নেপালি রুপি ক্ষতি হয়ে গেছে তাদের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ২০১২ সালে চীনের বিমান শিল্প করপোরেশনের সঙ্গে দু’টি এমএ৬০ ও চারটি ওয়াই১২ই কেনার চুক্তি হয় নেপাল এয়ারলাইনসের। চুক্তি অনুসারে, মাত্র ৩৭২ কোটি নেপালি রুপির বিনিময়ে ও চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে বিশেষ ঋণ সুবিধায় তিনটি ওয়াই১২ই ও একটি এমএ৬০ প্লেন কেনে নেপাল। এরসঙ্গে আরও একটি করে ওয়াই১২ই ও এমএ৬০ প্লেন উপহার বা ফ্রি দেয় চীন।

এ ঘটনাকে সেসময় নেপালের ইতিহাসের অন্যতম মাইলফলক বলে উদযাপন করা হয়। তবে, প্লেনগুলোর মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশের যে আশা করেছিল তারা, তা আর হয়ে ওঠেনি। কারণ, চীনা প্লেন ওড়ানোর মতো যথেষ্ট দক্ষ পাইলট ছিল না তাদের। আর এতদিনে পর্যাপ্ত পাইলট তৈরিও করতে পারেনি নেপালি কর্তৃপক্ষ। ফলে কেনার ছয় বছর পরেও একবারের জন্যেও আকাশে ওড়ানো যায়নি একটি এমএ৬০ প্লেন।
ওয়াই১২ই উড়লেও সেগুলো নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। গত মার্চে এমনই একটি প্লেন নেপালগুঞ্জ বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছিল। এর জন্য পাইলটকে দায়ী করে বরখাস্তও করা হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্লেনের একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও পাইলট সেটিকে ভুলভাবে ল্যান্ড করিয়েছেন। তবে তদন্তকারীরা ওয়াই১২ই প্লেনের কার্যক্ষমতা নিয়েও সন্দেহপ্রকাশ করেন।

এসবের তিন মাস পরেই ওয়াই১২ই ও এমএম৬০ প্লেনগুলো আর না ওড়ানোর ঘোষণা দিল নেপাল। যদিও অনেকের মতে, দোষ চীনা প্লেনগুলোর চেয়ে নেপাল এয়ারলাইনস করপোরেশনের ব্যবস্থাপনাতেই বেশি। প্লেন কেনার চুক্তি অনুসারে নেপাল সরকারকে বাৎসরিক ১ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে এবং সার্ভিস চার্জ ও ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ দিতে হবে মোট ঋণের ০.৪ শতাংশ। বিপরীতে, নেপাল এয়ারলাইনসের কাছ থেকে বছরে আট শতাংশ সুদ নেবে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০১২ সালের চুক্তি অনুসারে নেপালকে সাত বছরের কিস্তি ও সুদে ছাড় দিলেও ২০ বছরের মধ্যেই চীনের কাছ থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি