শিরোনাম: |
ঢামেকে যত্রতত্র ব্যবহৃত পিপিই-মাস্ক, জীবাণু ছড়ানোর শঙ্কা
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ মানুষের শরীরে। এজন্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। এছাড়া করোনা রোগীদের সংস্পর্শে যাদের আসতেই হবে (চিকিৎসক, নার্স) তাদের অবশ্যই ভাইরাস প্রতিরোধী সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই-মাস্ক-গ্লাভস) পরিধান করে যেতে হবে রোগীদের সামনে। ব্যবহারের পর আবার সুরক্ষা সামগ্রীগুলো সঠিকভাবে ডিসপোজ করতে হবে। চিকিৎসকরা মনে করেন, এগুলো যদি যেখানে সেখানে ছড়িয়ে থাকে তা থেকেও ছড়াতে পারে ভাইরাস। চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করলেও বদলায়নি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি। সেখানে ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঢামেকের চিকিৎসকরা বলছেন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পিপিই-মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস থেকে করোনা ভাইরাসের জীবাণু ছড়াতে পারে।
বুধবার (০৩ জুন) ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নতুন ভবনের দিকে যেতে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং এলাকায় দেখা যায়, ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়েছে। বুলবুল হোসেন (ছদ্মনাম) নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অনেকদিন ধরে এখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যবহৃত পিপিই মাস্ক ও গ্লাভস পড়ে আছে। হয়তো হাসপাতালের ভেতরে করোনা ইউনিটের ডিউটি শেষ করে অনেকেই এখানে এনে ফেলে রাখে। আবার হাসপাতালে কিছু কিছু বেসরকারি কর্মচারীরা ঝাড়ু দিয়ে জরুরি বিভাগ চত্বর পরিষ্কার করার সময় এখানে এগুলো জড়ো করে রাখে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যবহৃত পিপিই-মাস্ক-গ্লাভসের বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোনোভাবেই ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা যাবে না। এগুলো থেকেও করানো ভাইরাস এর জীবাণু ছড়াতে পারে। এগুলো নিয়ম অনুযায়ী ডিসপোজ করতে হবে মাস্ট বি। হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভসসহ অন্যান্য সবকিছু নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে এগুলো খুলে সঠিকভাবে একটি ব্যাগে ভরে নিয়ম অনুযায়ী এগুলো ডিসপোজ করতে হবে। ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড মাস্টার আব্দুল গফুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যবহৃত পিপিই মাস্ক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না। যদি থেকেও থাকে তা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। |