শিরোনাম: |
২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৩২
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
প্রাণঘাতী
ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে,
করোনা শনাক্তের পর বাংলাদেশে যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে করোনায়
মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৮০ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩২ জনের শরীরে
করোনা সংক্রমণ পাওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ৩৩ হাজার ৬১০ জনে।
একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪১৫ জন। রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত
বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের
অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭টি
ল্যাবে ৮৯০৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে ১ হাজার ৫৩২ জনের করোনা শনাক্ত
হয়। এছাড়া এই সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গত
২২ মে একদিনে সর্বোচ্চ ২৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট ৪৮০
জনের মৃত্যু হলো।
নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৯০১ জন। শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৫৩ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ২১৬৩ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৪৪৬ জন। তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৬৪টি। ঢাকার ভেতরে রয়েছে সাত হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে শয্যা রয়েছে ছয় হাজার ৩৪টি। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট আছে ১০৬টি। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিইনে এসেছেন ৩০৬৩ জন। মোট কোয়ারেন্টিইনে আছেন ৫৫ হাজার ১৫৩ জন। ছাড় পেয়েছেন ৩০৮৭ জন। মোট কোয়ারেন্টিইনে আছেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৯ জন। আর মোট ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৩৪৬ জন। ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কাউকে কোলাকুলি না করার পরামর্শ দেয়া হয়। চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৪ হাজার ২০৬ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৫ জন। |