শিরোনাম: |
একরাম হত্যার ৬ বছর আজ : পেপারবুক না হওয়ায় ঝুলে আছে আপিল শুনানী
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
বর্বরোচিত ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার ৬ বছর আজ। ২০১৪ সালের এদিনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে নৃশংসভাবে একরামকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পৈশাচিক এ হত্যার ঘটনায় নিম্ম আদালতে ৩৯ আসামীর ফাঁসির আদেশ হলেও পেপারবুক তৈরি না হওয়ায় ঝুলে আছে আপিল শুনানী। এছাড়া রায় ঘোষণার আগ থেকেই পলাতক রয়েছেন ১৭ আসামী। ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে নৃশংসভাবে একরামকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।।মামলাটি দীর্ঘ বিচারকাজ শেষে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ ফেনীর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৯ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জিহাদ, ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু, আবিদুল ইসলাম আবিদ, সাজ্জাদুল ইসলাম পাটোয়ারী সিফাত, আবু বক্কার সিদ্দিক ওরফে বক্কর, মো. আজমির হোসেন রায়হান, মো. শাহজালাল উদ্দিন শিপন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে আজাদ, কাজী শানান মাহমুদ, মীর হোসেন আরিফ ওরফে নাতি আরিফ, আরিফ ওরফে পাঙ্কু আরিফ, রাশেদুল ইসলাম রাজু, মো. সোহান চৌধুরী, জসিম উদ্দিন নয়ন, নিজাম উদ্দিন আবু, আবদুল কাইউম, নুর উদ্দিন মিয়া, তোতা মানিক, মো. সজিব, মামুন, রুবেল, হুমায়ুন ও টিপু, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন অনিক, আরমান হোসেন কাউসার, জাহেদুল হাসেম সৈকত, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, জসিম উদ্দিন নয়ন ও এমরান হোসেন রাসেল ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, রাহাত মো. এরফান ওরফে আজাদ, একরাম হোসেন ওরফে আকরাম, শফিকুর রহমান ওরফে ময়না, কফিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, মোসলে উদ্দিন আসিফ, ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, মহিউদ্দিন আনিছ, বাবলু ও টিটু। খালাসপ্রাপ্ত ১৬ জন হলেন প্রধান আসামি জেলা তাঁতী দলের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনার, একরামের একান্ত সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেন পাটোয়ারী ওরফে টুপি বেলাল, পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম- আহবায়ক জিয়াউল আলম মিস্টার, মো. আলমগীর ওরফে আলউদ্দিন, আবদুর রহমান রউপ, সাইদুল করিম পবন ওরফে পাপন, জাহিদ হোসেন ভূইয়া, ইকবাল হোসেন, মো. শাখাওয়াত হোসেন, শরিফুল ইসলাম পিয়াস, কালা ওরফে কালা মিয়া, নুরুল আবসার রিপন, মো. ইউনুস ভূইয়া শামীম ওরফে টপ শামীম, মো. মাসুদ, কাদের ও ফারুক। রায় ঘোষণার অাগ থেকে পলাতক রয়েছেন জাহিদ হোসেন ওরফে জিহাদ চৌধুরী, আবিদুল ইসলাম আবিদ, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন অনিক, আরমান হোসেন কাউসার, জাহেদুল হাসেম সৈকত, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, জসিম উদ্দিন নয়ন, এমরান হোসেন রাসেল ওরফে ইঞ্জি. রাসেল, রাহাত মো. এরফান ওরফে আজাদ, একরাম হোসেন ওরফে আকরাম, শফিকুর রহমান ওরফে ময়না, কফিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, মোসলে উদ্দিন আসিফ, ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, মহিউদ্দিন আনিছ, বাবলু ও টিটু। এদিকে নিম্ম আদালতে রায় ঘোষণার কয়েক দিন পর উচ্চ আদালতে আপিল করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। তাদেরকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও কুমিল্লা সেন্ট্রাল কারাগারে রাখা হয়েছে। ফেনী জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহম্মদ জানান, একরাম হত্যা মামলা হাইকোর্টে শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে। পেপারবুক তৈরি না হওয়ায় কার্যতালিকায় আসছেনা । ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্যে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী জেলা তাঁতী দলের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। |