শিরোনাম: |
সোলায়মান ছিল পাকা জুয়াড়ি!
|
![]() ডিসি সোলায়মান যে অতিদ্রুত সচিব পদে উন্নিত হয়েছিল। সে ঢাকায় মেজিষ্ট্রেট থাকা অবস্থায় ৮১ থেকে ৮৫ পর্যন্ত প্রতিরাতে জুয়া খেলার জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কাছে রেড স্টার হোটেলে আসতো। সে চেইনস্মোকার ছিল। বন্ধুবান্দবের কাছ থেকে বেনসনের প্যাকেট খুজত । সে রাত ৮-৯টার দিকে আসত আবার ভোরে চলে যেত দিনের পর দিন এভাবেই তার কেটেছে। তার কাছে এখনো অনেকেই টাকা-পয়সা পাওনা আছে। সে কারও কাছ থেকে হাওলাত নিলে আর ফেরত দিত না। কোন কোন সময় রেড স্টার থেকেই সরাসরি অফিসে চলে যেত, বাসায় যেত না। তার জুয়া খেলার সাথীদের অনেকেই মারা গেছে। যেমন খোকন, নূর ইসলাম, নেবিস্কোর মুকসেদ আলী এরা এখন নেই। তবে মালেক বিএসি, একরাম চৌধুরী এরা এখনো আছে। সোলায়মানের একটি গুন ছিল সে রক্তে মাংসে আ.লীগবিরোধী। সেই কারণেই সে অতি নিচু থেকে সর্বোচ্চ আসনে উপনিত হয়েছিল। ফেনীতে সে আমার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রথমে সকলের দৃষ্টিতে আসে। আমার বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর থেকে তাকে আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। কট্টর স্বাধীনতাবিরোধী এই লোকটি কৌশলে তার পরিচয় গোপন রেখে একের পর এক বিভিন্ন সরকারের পদন্নতি পেয়েছে। ২০০৮ সালে আ.লীগ ক্ষমতায় আসার পরও দীর্ঘদিন সে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিল। অবশ্য রাজস্ববোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে অবসরে যাওয়ার পর থেকে অনেক বছর চুপচাপ ছিল। চুপচাপ নয় মনে হয় অনেকটা আত্মগোপনেই চলে গিয়েছিল। সে ভেবেছিল আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে তার জীবনের নিরাপত্তা নাই। কারণ সে জানে আ.লীগের ক্ষতি কি সে করেছে। তার দীর্ঘ সরকারি চাকরি করার সময়কালে সে জামায়েতের সদস্য ছিল এটা তখনকার সময়ে কেউ জানতো না। কিন্তু এখন সবই পরিষ্কার হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে আবার সে বাংলাদেশে আলোচনার শীর্ষে সে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষি হয়েছে। বলা হচ্ছে জামায়েত ভেঙ্গে সোলায়মান অন্য একটি দল ঘটনা করেছে। আপত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সে জামায়েতের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। কিন্তু এটি তার আসল রূপ নয়। তার এই ভূমিকাকে অনেকেই অভিনয় বলে ভাবছেন। জামায়েতের নেতারাও তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না। তবে এইমূহুর্তে বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে শুধু নিশ্চিত করে এই টুকুন বলা যায় যে তার উদ্দেশ্য খুবই খারাপ। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু একটা তালগোল পাকিয়ে সরকারের পতন ঘটানো যায় কিনা সেই মহা পরিকল্পনাই হয়তো তার মাথায় ঢুকেছে। নতুন দল করা এটা স্বাভাবিকভাবে সঠিক সময় নয়। তবুও কেন সে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তা সকলকে গভীরভাবে ভাবতে হবে। তাকে আর চক্রান্ত করে অঘটন ঘটাবার সুযোগ দেয়া যায় না। স্বাধীনতার স্বপক্ষে সকল মানুষকে তার প্রতিটি পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনার ব্যাপারে চোখকান খোলা রাখতে হবে। শেষে আপাতত কবিতার ভাষায় তাকে বলতে চাই। বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ। লেখক উপদেষ্টা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাবেক সংসদ সদস্য। |