শিরোনাম: |
করোনার পরেই আসবে খাদ্যসংকট
|
![]() সারাপৃথিবীতে ব্যাপক খাদ্যসংকট দেখা দিবে এতে দুর্ভিক্ষ হবে আর এই দুর্ভিক্ষে যত লোক মারা যাবে তা করোনার চেয়েও অনেক বেশি হবে। সেই কারণেই পৃথিবীর সকল দেশই খাদ্য উৎপাদনের ব্যাপারে আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে। আমার ধারণা বাংলাদেশ এ ব্যাপারে প্রথম সারিতে রয়েছে। কেননা পরিষ্কার বুঝা যায় জননেত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ সুতরাং পরিকল্পিতভাবে কৃষির উৎপাদন বাড়ানো গেলে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের অভিশাপ থাকবে না। নেত্রী বলেছেন শুধু নিজেদের চাহিদা পূরণ নয় যেন আপদকালে বিদেশকেও সাহায্য করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিব। এই লক্ষ্যে তিনি বার বার বলেছেন কোথাও কারও এক ইঞ্চি জমিও অনাবাধি থাকতে পারবে না। আমাদের ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইটভাটাগুলো একটি সমস্যা। ইদানিং কৃষি জমি থেকে ইটভাটায় মাটি নেয়া সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু এই সিদ্ধান্তটি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না। ধানি জমি থেকে ইটভাটার জন্য মাটি নিয়ে গেলে উৎপাদন দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধানি জমির মাটি কাটার জন্য এক শ্রেণীর দালাল জন্ম নিয়েছে এরা অনেকসময় জোর করে মাটি নিয়ে ইটভাটায় সরবরাহ করে মোটা অংকের অর্থ লাভ করে। ইটভাটার মালিকরা বলছে মাটি না পেলে আমরা ইট তৈরি করবো কিভাবে। আর ইট না থাকলে তো সকল উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। ইটভাটার মালিকদের কথার যুক্তি থাকলেও এই মূহুর্তে মানুষ উন্নয়ন খাবে না। মানুষকে আগে বাঁচতে হবে, তারপর উন্নয়ন। তাই মাটির দালালদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। নতুবা বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। আমরা ইট নয়, উন্নয়ন নয়, চাই খাদ্য। খাদ্য উৎপাদনের বাধা দূর করতে যত কঠিন সিদ্ধান্তই নেয়ার দরকার হয় তা নিতেই হবে। কারণ বাঁচার জন্যই মারতে হবে। |