শিরোনাম: |
পোশাক কারখানাগুলো ১১ এপ্রিল পর্যন্তই বন্ধ থাকছে
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
দিনভর নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে করোনা সতর্কতায় গার্মেন্ট কারখানাগুলো ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছেন কারখানার মালিকেরা। এর আগে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সব কারখানা বন্ধ রাখার জন্য পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। এতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন গার্মেন্ট মালিকেরা। বেশ কয়েকজন কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কারখানা আপাতত বন্ধই রাখছেন। কারখানা বন্ধের বিষয়ে নতুন কোনো ঘোষণা না আসায় শনিবার সকাল থেকেই শ্রমিকরা দলে দলে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকার পথে ছুটে আসতে শুরু করেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকে পায়ে হেঁটেই মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়েছেন। এ কারণে ভিড় বেড়েছে নৌ ঘাটেও। করোনা ভাইরাসের এ দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়। কেননা করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতি রাতে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক এক অডিও বার্তায় পোশাক কারখানার মালিকদের আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সব কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিত্ব করি। কিন্তু কারখানা খোলা রাখা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে বিজিএমইএ’র কোনো ক্ষমতা নাই। তবু আমি মালিকদের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সাথে সাথে আমাকে এও বলতে হয়েছে যে, যাদের ক্রয়াদেশ রয়েছে এবং পিপিই বানাচ্ছেন তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খোলা রাখতে পারেন। শ্রম মন্ত্রণালয় ও কলকারখানা অধিদপ্তরও এইভাবেই বলেছে। তারপর আমি শ্রম মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েও বিষয়টা জানিয়েছি। অতএব আমার উপর এই বিষয়টা না চাপানোর অনুরোধ করছি। তবুও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য সব কারখানার মালিক ভাই ও বোনদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিজিএমইএ’র সভাপতির এই অডিও বার্তার পর ইতিবাচক সাড়া দিয়ে দেশের গার্মেন্টস কারখানার মালিকেরা। বিজিএমইএর পাশাপাশি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোাশাক শিল্পখাতের অপর সংগঠন লাদেশ নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। রাত ১২ টায় সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিকেএমইএভুক্ত কারখানাও ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরো আগেই হওয়া উচিত ছিল। সময়মতো এ সিদ্ধান্ত হলে শ্রমিকরা হয়তো এ বিড়ম্বনার মুখে পড়তেন না। অন্যদিকে রাস্তা আর নৌ পথেও এত ভিড় বাড়তো না। এখন কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে তাদের ফের বিড়ম্বনার মুখে বাড়ি ফিরতে হবে। |