শিরোনাম: |
গুজবের ফেরিওয়ালারা সাবধান
|
জয়নাল হাজারী ॥
এই মুহুর্তে জাতি একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই সময়ে জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। জাতীয় ঐক্যের স্বার্থেই সরকার দ্রুত খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দিয়েছে কিন্তু এ শ্রেণীর লোক তারা পৃথিবী উচ্ছেন্নে গেলেও তাদের স্বভাব পাল্টাতে পারছেনা। তাই তারা করোনার মহাসংকটকালেও সে বিষয়ে চিন্তা না করে ব্যক্তি ও দলীও স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে চায়। এ সপ্তাহে আমাদের সেতুমন্ত্রী এবং আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী সভার সাপ্তাহিক মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি মঙ্গলবারের নেত্রী যে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন তাতেও উপস্থিত ছিলেন না। এতে আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। কারণ গতবার যখন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন কেবল ঐ সময়ে বেশ কিছুদিন সাপ্তাহিক মন্ত্রী সভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। এ ছাড়া কোন বৈঠকেই কোন দিন অনউপস্থিত ছিলেন না। এবারের অনুপস্থিতির মূল কারণই হচ্ছে জননেত্রী সরাসরি টেলিফোন করে সেতুমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন কোন অবস্থাতেই তিনি যেন ঘরের বাইরে না যান। হৃদরোগে আক্রান্ত হবার পর থেকেই সেতুমন্ত্রীর শরীরটা দুর্বল তাই তিনি সেতুমন্ত্রীকে ঐ নির্দেশটি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কোন ভাবইে জনগনকে বিভ্রান্ত করার কোন সুযোগ নাই। নেত্রীর নির্দেশ পালন করতে গিয়েই তিনি মন্ত্রী সভার বৈঠকে এবং ভিডিও কনফারেন্সে যাননি। যদিও ভিডিও কনফারেন্সে ৬জন মন্ত্রীকে ডাকা হয়েছিল । তবে নেত্রী মূলত কৃষি মন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন এবং তাকে ভবিষ্যতের জন্য কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতি এখন যুদ্ধের মধ্যে আছে। এই যুদ্ধে আমাদের সর্বাধি নায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেমন জয়লাভ করেছি তেমনি তার কন্যার নেতৃত্বে চলমান যুদ্ধেও জয়লাভ করবো। সকল যুদ্ধেই কিছু সৈনিকে জীবন দিতে হয়। জনগনকে রক্ত দিতে হয়। এখনও তাই হচ্ছে। গুজব রটনাকারীরা সেতুমন্ত্রীর ব্যাপারে করোনাকে পর্যন্ত টেনে এনেছে। এই গুজব রটনাকারীরা মাহবুব আলম হানিফ,নানক, বাহউদ্দিন নাসিম কিংবা আমার ভক্তরা নয়। এরা হচ্ছে সেই মৌলবাদি শক্তি যারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল। আমি তাদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকার আহবান জানাই এবং বলতে চাই সাধু সাবধান। |