শিরোনাম: |
হাসপাতাল মানে কি একটি বিল্ডিং?
|
জয়নাল হাজারী ॥
সম্প্রতি শীর্ষ ধণাঢ্য ব্যক্তিরা ঘোষণা দিয়েছেন তারা এক সপ্তাহের মধ্যে চীনের মত হাসপাতাল তৈরি করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিবেন। ধণাঢ্য ব্যক্তিরা বিচক্ষণ তাতে কোন সন্দেহ নাই কিন্তু দেশের সকল মানুষকে বোকা মনে করার কোনই কারণ নাই। কারণ হাসপাতাল কাকে বলে মানুষ তা জানে। হাসপাতালের প্রাণ হচ্ছে ডাক্তার-ঔষধ এবং যন্ত্রপাতি। সপ্তাহ দশদিনের মধ্যে একটি মাঝারি ধরনের দুই-তিন তলা ইমারত তৈরি করাও সম্ভব নয়। কারণ একটি ছাদ পিটিয়ে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হয়। সেটা বাদ দিলাম আসল কথা হচ্ছে হাসপাতালের জন্য যে ডাক্তার প্রয়োজন প্রথমে সেটা কোথায় পাবেন। আকিজ ও বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে কত টাকা আছে তারা নিজেরাও জানে না। তাদের টাকার কথাটি অংকে লেখা কঠিন। যেখানে কয়েকযুগ পুরানো হাসপাতাল থেকে ডাক্তারেরা পালিয়েছে সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে সত্যিকারের ডাক্তার আনা সম্ভব? মোট কথা হাসপাতাল যারা করতে চান তাদেরকে আগে ডাক্তার নিয়োগ করতে হবে। তারপর ঔষধ ও সরনজাম আনতে হবে। আসল কথা হচ্ছে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ঔষধই আবিষ্কার হয়নি। আমি বলি হাসপাতাল তৈরি করার চেষ্টা না করে টাকাটা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলে দিয়ে দিন। অনেকেই সেখানেই টাকা দিচ্ছে এবং এই টাকাটা সঠিকভাবে কাজে লাগবে। সেখানে হাসপাতালগুলো করবেটা কি? টাকা আছে এটা জানান দেয়ার জন্য হাসপাতাল করবো ঘোষণা না দিয়ে হেলিকাপ্টারে করে গরিব এলাকায় টাকা ছিটিয়ে দিলেই ব্যাপক প্রচার হবে। অবশ্য হাসপাতালগুলোকে পশু হাসপাতালে রূপান্তর করলে খারাপ হবে না। আমি ভাবছিলাম আমিও একটি হাসপাতাল বানাবো, তবে তা ইমারতের নয় কাগজের। কাগজ দিয়ে হাসপাতাল বানালে হাসপাতালটি একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিতে সুবিধা হবে। করোনরোগী দেখলে পুরো হাসপাতালটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়া যাবে। |