শিরোনাম: |
মুক্তি পাচ্ছেন খালেদা
|
স্টাফ রিপোর্টার: দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই মুক্তি পাবেন খালেদা জিয়া। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটি শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো, এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এর আগে বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয় খালেদা জিয়ার পরিবার। খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বোনের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া হলেও তাদের পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না। এই সিদ্ধান্ত নেয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার বোন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার মধ্যে গত ১১ মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাজা স্থগিতের ঘোষণা দেয়ার পর খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পছন্দমতো হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হবে। যদিও আইনমন্ত্রী বলেছেন, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি বলেছিলেন, দুইটি শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো, এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান। এরপর থেকে নানাভাবে চেষ্টা করেও মুক্তি মেলেনি তার। আইনি প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করেও তার জামিন করাতে পারেননি আইনজীবীরা। জানা গেছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশান কার্যালয়ে যাচ্ছেন। সেখানে দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলবেন। মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তিনি হাসপাতালে আসতে পারেন। |