মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, 2০২4
খালেদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলায় বিচার শুরু
Published : Thursday, 27 February, 2020 at 10:57 PM

আদালত প্রতিবেদক,
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ মাদক ইয়াবা এবং ইয়াবা বিক্রির দশ লক্ষাধিক টাকা হেফাজতে রাখার মামলায় চার্জগঠন করে আগামী ১ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ চার্জগঠনের আদেশ দেন।
শুনানিকালে খালেদকে কারাগার থেকে ওই আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক আসামি খালেদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি আসামির কাছ থেকে কোনো ধরনের মাদক পাওয়া যায়নি এবং তিনি শুধু ষড়যন্ত্রের শিকার মর্মে উল্লেখ করে অব্যাহতির প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠনের নির্দেশ দেন।
ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার অভিযোগ পাঠ করে শুনিয়ে দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞাসা করলে খালেদ নিজেকে নিদোর্ষ বলে দাবি করেন। এরপর বিচারক আগামী ১ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন।
মামলায় খালেদের কাছে ৫৮০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা উদ্ধারের অভিযোগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর চার্জশিট দেয় র‌্যাব।
চার্জশিটে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ঢাকা মহানগর যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ২০১২ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। ঢাকার মতিঝিলের ইয়ংমেন ক্লাব, আরামবাগ ক্লাবসহ ফকিরাপুলের অনেক ক্লাবে ক্যাসিনোর আসর বসিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। সে খিলগাঁও-শাজাহানপুর চলাচলকারী গণপরিবহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। কোরবানি ঈদের সময় শাজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া, কমলাপুর, সবুজবাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করতেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রেল ভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ফকিরাপুলসহ বেশির ভাগ এলাকার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন খালেদ মাহমুদ। তার দুটি অস্ত্রের লাইসেন্সে ৫০টি করে গুলি কেনার হিসাব থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তার হেফাজত থেকে শর্টগানের সাতটি ও পিস্তলের নয়টি অতিরিক্ত গুলি উদ্ধার করা হয়। এগুলো ২০১৭ সালের পর নবায়ন করা হয়নি। তাই সেগুলো অবৈধ অস্ত্র।



সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি