শিরোনাম: |
জমি কেনায় স্বামী-স্ত্রীকে পেটাল পুলিশ!
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি কেনার কারণে নূরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে। এ সময় বাধা দেয়ায় তার স্ত্রীকেও পুলিশ চড়-থাপ্পড় মারে বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা (২নং সিএন্ডবি) এলাকার নূরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নূরুল ইসলাম জানান, একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে নছ মিয়া তিন থেকে চার বছর আগে তার আপন চাচাতো ভাইয়ের কাছে থেকে সাব কবলা দলিল মূলে ৭ শতাংশ জমি কিনেন। গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নছ মিয়া ওই জমি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বেড়াইদেরচালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বায়না করেন। পরে নুরুল ইসলাম ওই জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীরও নির্মাণ করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় শ্রীপুর থানা পুলিশের এসআই নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার বাড়িতে যায়। পরে পুলিশ তার কাছে ওই জমি কেনার কারণ জানতে চায়। কিছু বলার আগেই এসআইয়ের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন এবং চড়-থাপ্পড় মারেন। এর প্রতিবাদ করলে তার স্ত্রীর দুই গালেও চড়-থাপ্পড় মারেন পুলিশের সদস্যরা। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নারীকে চড় মারার কারণ জানতে চায়। কোনো সদুত্তর দিতে না পেরে পুলিশ স্থানীয়দের তোপের মুখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এদিকে জমি বিক্রেতা নছ মিয়া জানান, গত তিন থেকে চার বছর আগে তিনি তার আপন চাচাতো ভাই কামাল হোসেনের কাছ থেকে সাব-কাবলা দলিল মূলে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমি তিনি স্থানীয় নূরুল ইসলামের কাছে রেজিস্ট্রি বায়না করে দিয়েছেন। তবে তাদেরকে মারধর করার খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে যায়। শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান জানান, ওই জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় স্থানীয় রাজু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি আদালতের আদেশ (১৪৪ ধারা) জারি করতে গিয়েছিলেন। তবে মারধর, টানাহেঁচড়া ও নারীকে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনা অস্বীকার করে সাংবাদিককে থানায় গিয়ে দেখা করতে বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, আমি এখনও ঘটনা শুনিনি। খোঁজ নিয়ে আপনাকে বিষয়টা জানাচ্ছি। |