শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
বাংলাভাষাকে ভালোবেসে বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন দুই জাপানি
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
Published : Friday, 21 February, 2020 at 4:41 PM

 জাপানে জন্ম, সেখানেই বেড়ে ওঠা। তবে বাংলাদেশে এসে পড়েছেন বাংলাভাষার প্রেমে। শুধু প্রেমেই পড়েননি, বাংলাভাষাকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন দুই জাপানি নাগরিক। চলতি বছর জাপানে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে বাংলাদেশি অ্যাথলেটদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেয়েছেন গানও।
শুনশুকে মিজোতোনে এবং মায়ের ওয়াতানবে এ দুই জাপানি নাগরিক প্রথম ২০০৯ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কাজ নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। সেবারই বাংলাভাষা, বাংলার গ্রাম, সংস্কৃতি এবং সাধারণ মানুষের প্রেমে পড়ে যান তারা। ২০১২ সালে ফের আসেন আর সেই থেকে থিতু হন এখানেই। বাংলাভাষাকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে গড়েছেন ‘বাজনা বিট’ নামের একটি ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের ‘ব’ আর জাপানের ‘জ’ দিয়ে এ নামকরণ করা হয়েছে বলে জানান শুনশুকে এবং মায়ের।

সম্প্রতি দ্য ইয়ং ফেলো নামের একটি বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেলে এ দুই জাপানির এক সাক্ষাতকার প্রকাশিত হলে অনলাইন পাড়ায় বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেন তারা। বেশ সাবলীল বাংলায় সেখানে নিজেদের অনুভূতি জানিয়ে মায়ের ওয়াতানবে বলেন, ২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসি। এরপর ২০১২ সালে। সেই যে ভালোলাগা শুরু করলো সাতবছর যাবত এখানেই আছি। শুনশুকে বলেন, ২০০৭ এ আমি প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলাম। প্রথমে ভয় পেয়ে বাংলাদেশে এসেছি। কিন্তু এরপর থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেককিছু জানলাম। আর ধীরে ধীরে এর প্রেমে পড়ে গেলাম। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশেছি। জাপান একটা উন্নত দেশ। সেখানে একটা জিনিস হারিয়ে যাওয়ার মতো মানবতা, যা বাংলাদেশের ভেতরে দেখে খুব ভালো লেগেছে। তখনই স্বপ্ন হয়েছে যে, বাংলাদেশে থেকে যেতে চাই।

মায়ের বলেন, আমরা শুধু বাংলাভাষা না, এ দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতির প্রেমে পড়েছি। এ দেশের মানুষের ভাবনা দেখেছি, আর সেখানে দেখেছি এই দেশের মানুষ কিভাবে তাদের দেশকে ভালোবাসে, নিজেদের ভাষাকে ভালোবাসে। পৃথিবীতে অনেক দেশে গিয়েছি, কিন্তু বাংলাদেশ নম্বর ওয়ান যারা নিজেদের ভাষাকে ভালোবাসে। বাঙালি বিশ্বে নম্বর ওয়ান। এই জাতি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে, আমরা জেনেছি। বাংলা গানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষে মানুষের ভালোবাসার কথা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান জানিয়ে শুনশুকে বলেন, মানুষে মানুষে যে সম্পর্ক, ভালোবাসা সেটিকে আমরা গানের মাধ্যমে, এনিমেশনের মাধ্যমে বার্তা আকারে দিতে চাই।

আর বাংলাভাষা শিখতে বাঙালিদের খুব সাহায্য পেয়েছেন বলে জানান মায়েরে। তিনি বলেন, যখন আমরা গ্রামে যাই তখন প্রথম প্রথম বাংলা বুঝতাম না। কিন্তু যখন বাংলা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করি, তখন আশেপাশের মানুষজন সবাই মিলে আমাদের বাংলা ভাষা শেখাতো। বাংলাভাষা শেখা কঠিনও ছিল না অবশ্য কষ্ট করতে হচ্ছিল। আজও আমরা প্রতিদিন শিখি। জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আছে উল্লেখ করে দুই দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মায়ের ও শুনশুকে। দু’দেশ ও দেশের মানুষের মধ্যেকার এ বন্ধুত্ব ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি