শিরোনাম: |
অশ্বিনকে ঠেকাতে আঙুল কেটে নেয়ার হুমকি!
|
ক্রীড়া ডেস্ক ॥
অনিল কুম্বলে ততদিনে ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন, ফর্ম হারিয়ে নিজেকে খুঁজছেন হরভজন সিং। এমতাবস্থায় ভারতীয় দলে একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারের দরকার ছিলো খুব করে। ঠিক তখনই আঁধারের মাঝে আলো হয়ে আসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২০১০ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু অশ্বিনের। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত সফলতার সঙ্গেই খেলে যাচ্ছেন অশ্বিন। সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এখনও অপরিহার্য এ ডানহাতি অফস্পিনার। এখনও পর্যন্ত ভারতের হয়ে ৭০ টেস্ট, ১১১ ওয়ানডে এবং ৪৬ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন অশ্বিন। তিন ফরম্যাট মিলে তার উইকেট সংখ্যা ৫৬৪। কিন্তু ছোটবেলায় পাড়ার ক্রিকেটে থাকতে এমন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন অশ্বিন, যা কি না শেষ করে দিতে পারতো তার ক্যারিয়ার। টেপ টেনিস বলের একটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের আগেরদিন, প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা তার আঙুল কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কেননা পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন অশ্বিন। এখনও সেদিনের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়লে শিউরে ওঠেন অশ্বিন। তবে সেদিন খারাপ কিছু হয়নি তার সঙ্গে। ভারতীয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে নিজের ছোটবেলার কথা জানাতে গিয়ে, এ ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন অশ্বিন। তিনি যা বলেছেন সেদিনের ব্যাপারে, তা তুলে ধরা হলোঃ ‘আমার বন্ধুর একটা বাজে অভ্যাস ছিল, আমাকে নিয়ে টেনিস বলের টুর্নামেন্ট খেলার। আমার বাবা এটা একদমই পছন্দ করতেন না। এমনকি আমি পাড়ার ক্রিকেটে খেলি- এটাও তিনি ভালো চোখে দেখতেন না। তো এমন একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের দিন ছিলো। তখন এসব ম্যাচ জেতার জন্য প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের শাসানো একটা প্রচলিত রীতি ছিলো। আমি মাঠের উদ্দেশ্যে বেরুনোর সময় চার-পাঁচজন বিশালদেহী মানুষ ঘিরে ধরলো আমাকে।’ ‘তারা আমাকে তুলে ফেললো এবং বললো যেখানে বলে সেখানে যেতে হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কার কথা বলছেন? উত্তর দিল, তুমি এখানে ম্যাচ খেলতে এসেছ, না? আমরা তোমাকে নিতে এসেছি। আমি তখন দেখলাম আমাকে নেয়ার জন্য রয়্যাল এনফিল্ড নিয়ে এসেছে। বাইকে আমাকে মাঝে বসিয়ে তারা চলতে থাকলো। তাদের মাঝে আমি নিজেকে স্যান্ডউইচ মনে করছিলাম।’ ‘আমার বয়স তখন ১৪ কী ১৫ হবে। তারা আমাকে একটা অভিজাত চায়ের দোকানে নিয়ে গেলো। চেন্নাইয়ে এসব চায়ের দোকানগুলো ঐতিহ্যগত একটা বিষয়। সবগুলোই থাকে কোনো না কোনো মাঠের পেছনে। তারা আমাকে তেমন এক দোকানে বসালো এবং খাবার দিতে বলো। আমি ভয় পাচ্ছিলাম দেখে অভয় দিয়ে বললো, ভয় পেও না। আমরা তোমাকেসাহায্য করতে এসেছি।’ ‘তখন প্রায় সাড়ে তিনটার বেশি বেজে গিয়েছিল। আমি তাদের বললাম যে ম্যাচ শুরু হতে চলেছে। চলো মাঠে যাই। ঠিক তখন তারা আমাকে বললো, না, না! আমরা আসলে তোমার প্রতিপক্ষ দল থেকে এসেছি। যাতে করে এই ম্যাচে তুমি না খেলো। তাও যদি তুমি এখন মাঠে নামতে চাও, তাহলে নিশ্চিত থাকো তোমার আঙুলগুলো আর তোমার হাতে থাকবে না।’ |