শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
আমরা অবরুদ্ধ, দেশে ফিরতে চাই: চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আকুতি
Published : Tuesday, 28 January, 2020 at 10:21 AM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
চীনের যে শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়, সেই উহান শহরে তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন। তারা সবাই যার যার ছাত্রাবাসের রুমের ভেতরে প্রায় বন্দি অবস্থায় আছেন। বাইরে বের হতে পারছেন না, খাবার ফুরিয়ে আসছে, আতঙ্কিত উহান নগরীতে এখন তাদের দিন কাটছে দেশে ফেরার প্রতীক্ষায়। আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা বলেছেন, আমরা দেশে ফিরতে চাই। বিবিসি বাংলার সঙ্গে স্কাইপে কথা বলেছেন উহানে এমন দুজন বাংলাদেশি।

উহানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তাহকিম আনজুম মৃদুলা। তিনি বলেন, আমাদের ইউনিভার্সিটিতে আমরা ১২৭ জনের মতো বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী আছি। আমাদের যেন এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ উহানই এখন সবচেয়ে বেশি এই ভাইরাসের শিকার হয়েছে। মৃদুলা বলেন, আমাদের ডরমিটরির বাইরে একেবারেই যাওয়া নিষেধ। আমরা টোটাল লকডাউনের (পুরোপুরি অবরুদ্ধ) মধ্যে আছি। আমাদের খাবারের সংগ্রহ খুবই সীমিত। মাস্ক না পরে, এমনকি রুমের বাইরে পর্যন্ত যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একটা আতঙ্ক কাজ করছে আমাদের মধ্যে। বাতাসে বেরিয়ে আমরা না আবার এই ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হই।

বাংলাদেশে এই ছাত্রী আরও বলেন, দেশে বাবা-মা খুবই চিন্তিত। তারা চাইছেন আমরা দেশে ফিরে যাই। আমরা দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। অপেক্ষায় আছি কখন একটা পদক্ষেপ নেয়া হয়। আমরা সবাই দেশে ফিরে যেতে চাই। যত দ্রুত সম্ভব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
উহানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাকিবিল হাফিজ। তিনি বলেন, আজ কয়েকদিন ধরে এই ডরমিটরিতে আমরা অবরুদ্ধ। শুয়ে-বসে দিন কাটাচ্ছি। এটা একটা ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলের মতো। ৫০০-র মতো বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী আছে এখানে। আমরা বাংলাদেশিরা ছাড়াও আছে রাশিয়া, কাজাখাস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত, পাকিস্তান থেকে শুরু করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ছেলে-মেয়েরা আছে এখানে।

রাকিবিল বলেন, মাঝখানে আমাদের খাবার পর্যন্ত ফুরিয়ে গিয়েছিল। এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন। ইউনিভার্সিটি এই মুহূর্তে বন্ধ, চাইনিজ লুনার ইয়ারের ছুটি। ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখে খোলার কথা, কিন্তু শোনা যাচ্ছে এটি পিছিয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা সব তথ্য নিয়ে আমাদের তালিকাভুক্ত করছেন। এখানে যারা মাস্টার্সের ছাত্র, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাস যোগাযোগ করছে। তাদের কাছে আমাদের টোটাল সংখ্যা জানতে চেয়েছে। কত ছাত্র-ছাত্রী এখন আমরা এখানে আছি।


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি