শিরোনাম: |
অবৈধ কাজের প্রমাণ দিতে পারলে পদত্যাগ করবো
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর
বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ দিতে
পারলে পদত্যাগ করবো। কিন্তু এ অভিযোগ কারা তুলছে সেটাও দেখতে হবে। কোনো
দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী সংগঠনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথায় বিভ্রান্ত হওয়া
যাবে না। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে ডাকসু ভিপি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি
ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ডাকসু ভিপি নুরের আর্থিক লেনদেনের কিছু ফোনালাপ ফাঁস
হয়। এ নিয়ে বুধবার দুর্নীতির অভিযোগে ডাকসু থেকে নুরের পদত্যাগ ও
গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। অপরদিকে নুর ডাকসু ভিপি
পদে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত
সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে
ডাকসু ভিপি বলেন, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত, উচ্ছৃঙ্খলদের সংগঠন থেকে আমার
বিরুদ্ধে কী বলা হচ্ছে সেটা আমি বিবেচনা করি না। তবে তারা ডাকসুতে তালা
লাগানোর সাহস কোথায় পায়? তাদের কেউ ইন্ধন দিয়েছে। ভিসি স্যারের কথা আমরা
ব্যবস্থা নেবো। ডাকসু ভিপি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন, ছাত্রলীগের
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়ের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে নুর বলেন, কিছুদিন আগে যে
সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
দেয়া হয়েছে সে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, যার হকিস্টিক হাতে ছবি ভাইরাল
হয়েছে, কী বললো সেটা তো আমলে নেয়ার নয়। চোর-বাটপার-টেন্ডারবাজরা কী বললো
সেটা বিবেচ্য বিষয় না। আমাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা
নিতে পারে। কিন্তু যে কথাগুলো তারা ছড়াচ্ছে সেগুলো ভিত্তিহীন।
ফাঁস হওয়া ফোনলাপের বিষয়ে নুর বলেন, একটি ফোনালাপে বলা হচ্ছে আমি নাকি প্রকল্প কর্মকর্তার সাথে কথা বলছি, অথচ উনি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই। আমার আন্টির কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা আছে, তিনি সরকারি কাজের টেন্ডারটি পেয়েছেন। ১৩ কোটির টাকার মডেল মসজিদের কাজ। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিল ব্যাংক গ্যারান্টি লাগতো তাদের। আমার মামাতো ভাই অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে, তাই আন্টি আমার সহায়তা চেয়েছেন পরিচিত কারও মাধ্যমে ব্যাংক গ্যারান্টির বিষয়ে সহায়তা পাওয়া যায় কিনা। সেই আলাপকে বলা হচ্ছে ‘প্রকল্প কর্মকর্তার’ সাথে আমি কথা বলেছি। এটার খণ্ডিত অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। এটা নিতান্তই ষড়যন্ত্রমূলক। প্রবাসীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার প্রস্তাব সম্পর্কে নুর বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উনি ফোন দিয়ে অর্থ সহায়তার কথা বলেছেন। সেটার কর্তিত অংশ দেয়া হয়েছে। আমরা অপরিচিত কারও কাছ থেকে টাকা নেই না। আমি ওনাকে সেটিই বলেছি। |