শিরোনাম: |
তুরিন আফরোজকে অপসারণ
|
স্টাফ রিপোর্টার॥ শৃঙ্খলা, পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধ মামলার এক আসামির সঙ্গে বৈঠকের জন্য সমালোচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে অপসারণ জরুরি হয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তুরিনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তুরিন আফরোজকে অপসারণ করে আইন মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করার পর সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একজন আসামির সঙ্গে, যে মামলা তিনি নিজে করছিলেন, তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। মামলার আলোচনা করার সময় এও বলেছিলেন এ মামলার কোনো সারবর্তা নেই।’ ‘সেই যে কথোপকথন টেপ করা হয়, টেপ করা কথোপকথনগুলো এবং তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অভিযোগ আমাদের কাছে পাঠান।’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ অভিযোগ নিয়ে সাক্ষীদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং উনার সাথে কথা বলার প্রয়োজন যতটুকু মনে করি হয়েছিল। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে সেগুলো কিন্তু অল আর ডকুমেন্টরি। সেই জন্য আমরা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অব্যাহতি দিয়েছি।’ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ। অভিযোগ ওঠে, ২০১৭ সালের নভেম্বরে মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হককে ফোন করে কথা বলেন তুরিন। পরে পরিচয় গোপন করে ঢাকার একটি হোটেলে তার সঙ্গে দেখাও করেন। ওই অভিযোগ ওঠার পর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ওয়াহিদুল ও তুরিনের কথোপকথনের রেকর্ড ও বৈঠকের অডিওরেকর্ডসহ যাবতীয় ‘তথ্য-প্রমাণ’ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তুরিনকে। সবশেষ আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ‘শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের’ কথা উল্লেখ করে তুরিনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাজটা যে খুশি হয়ে করেছি, তা না। কিন্তু এটা তাকে অব্যাহতি দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ যে মামলা নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই মামলায় চার্জ গঠন হয়ে গেছে, সেই কারণে আমার মনে হয় এই ব্যাপারটি একটি নিস্পত্তি টানা দরকার ছিল, সেজন্য এটা করা হয়েছে।’ ওয়াহিদুল হকের বিষয়ে তুরিনের সেন্স অব জাজমেন্ট কেন কাজ করেনি, কেন তিনি এটা করলেন তা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। |